অবৈধ পরিবহন ধর্মঘট দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি

অবৈধ পরিবহন ধর্মঘট দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি 1সড়ক পরবহন আইন ২০১৮ এর ধারা সংশোধনের দাবিতে ৪৮ ঘন্টার অবৈধ ধর্মঘটে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতি দিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের প্রাণের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ণ করেছেন। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বৈধ ভাবে আন্দোলন, হাইকোর্টে মামলা করে আইনের ধারা পরিবর্তনের পরিবর্তে জনগনকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের পথ বেছে নিয়েছে। পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা সরকারে তাদের দুইজন প্রতিনিধির খুটির জোর বারবার এ ধরণের অপকর্ম করে গেলেও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেবার কারনে দেশে আইন না মানার সংস্কৃতি ক্রমাগত বেড়েই চলছে। সভ্য দেশে একজন মন্ত্রী সংবিধান রক্ষায় শপথ নিয়ে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকের স্বার্থ রক্ষায় এভাবে নগ্নভাবে ভুমিকা পালন করলে শপথ ভঙ্গ হলেও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা নির্বিকারের ঘটনা চরম জঘন্যতম। যা পুরো দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বড় হুমকি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন জাতীয় সংসদের নির্বাচন আসন্ন। সবকটি রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে তাদেরকে ভোট প্রদানে জনগনের কাছে আবেদন-নিবেদন করলেও অবৈধ ধর্মঘটে দেশব্যাপী সাধারন জনগনের অবর্ণনীয় ভোগান্তি হলেও এটা নিরসনে সরকারি দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দল কোন উচু বাচ্য করছে না। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়। সরকারে মেয়াদের শেষ সময়ে এ ধরণের অবৈর্ধ ধর্মঘট সরকারের জনপ্রিয়তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষডযন্ত্র কিনা? সেবিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের বিশেষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করে ঘটনার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ প্রশাসন রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষ হিসাবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু বিআরটিএ এর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের দ্বিপাক্ষিক ও বৈঠকগুলো অনেকটাই দেনদরবারের আলোচনা ছাড়া কিছু হয় না। ফলে প্রশাসন কার্যত আইনের প্রয়োগ ঘটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি বা গণপরিবহন সংক্রান্ত যাবতীয় নীতি নির্ধারনীতে ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহনের সুযোগ নাই। তাই গণপবিহনে শৃংখলা আনায়ন ও নৈরাজ্য বন্ধে যে কোন আলোচনায় পরিবহন মালিক গ্রুপ ও শ্রমিকদের পাশাপাশি ভোক্তা সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে জনস্বার্থ উপেক্ষিত থেকে যাবে। অন্যদিকে গণপরিবহনে অনিয়ম, শৃংখলা আনতে নাগরিক পরীবিক্ষন জোরদার, নাগরিক নজরদারি বাড়ানো দরকার। তাই সে বিষয়ে সরকারকে আশু ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুেপর সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ প্রমুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!