সরকারি আদেশ অমান্য করে ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দায়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. সারওয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও মামলা বাদি মো. শরীফ উদ্দিন তাদের গ্রেপ্তার করেন।
এর আগে গ্রেপ্তার আসামিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ট্রান্সমিশন ডিপার্টমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান, টেকনিশিয়ান মো. দিদারুল আলম ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির ছেলে গ্রাহক মুজিবুর রহমান।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি আদেশ অমান্য করে আবাসিক খাতে নতুন ও বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকা অবস্থায় চট্টগ্রাম চান্দগাঁও থানা এলাকায় গ্যাস সংযোগ ও নতুন রাইজার নির্মাণের সুযোগ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা ভুয়া নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে ২২টি দ্বৈত চুলায় সংযোগ দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, পরস্পর যোগসাজশে ও জালিয়াতির মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দায়ে আজ (বৃস্পতিবার) সকালে কেজিডিসিএলের তিন কর্মকর্তাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনার পর পরই কেজিডিএলের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি নির্দেশনায় আবাসিক খাতে নতুন করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
মুআ/এসএ