অবৈধ ক্লিনিক—সিটি হেলথ সিলগালা, এক্স-রে বন্ধ আলআমিন হাসপাতালের

নগরীর চট্টেশ্বরী রোডে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনার অভিযোগে সিটি হেলথ ক্লিনিক সিলগালা। নেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অনুমোদনই। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের সেবা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুদসহ নানা অনিয়মের কারণে হাসপাতালটি সিলগালা করেছে কর্তৃপক্ষ। এসময় ক্লিনিকটিতে ভর্তি থাকা রোগীদের চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

গতকাল বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ক্লিনিকটির পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ (৬০) ও গীতা দাস (৪৫) এবং নার্স সাবিনা ইয়াসমিন প্রকাশ (চম্পা) (৪৩) সহ ৩জনকে আটক করে চকবাজার থানা পুলিশ।

শুধু তাই নই, এর আগে নগরীর এ.কে খান এলাকার আল আমিন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন ডা.সেখ ফজলে রাব্বি। তাদের কাগজপত্রের বৈধতা থাকলেও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান ও এক্স-রে মেশিন অযোগ্য হয়ে পড়ায় তাদের এক্স-রে বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এর আগে (৯ নভেম্বর) বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির একটি অনলাইন ভার্চুয়াল জুম আ্যাপস অনুষ্ঠানে বিভাগের ১১ জেলার সিভিল সার্জনকে অবৈধ ও নিয়মবহির্ভূত পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এর পরপরই অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, কিছু দিন আগে ওই ক্লিনিকে একজন নারী অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ক্লিনিকটির অনেক অনিয়ম ও অবৈধ ভাবে চলছিল। অনেকদিন ধরে তারা লাইসেন্স নবায়ন করে নাই। নিয়মিত ডাক্তার থাকে না। এছাড়া নার্সদেরও নার্সিং এর উপর কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডিপ্লোমা নেই। এর আগে আমরা এ.কে খানে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় ওই এক্স-রে বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার (ওসি) রুহুল আমিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সিটি হেলথ ক্লিনিক অবৈধ গর্ভপাত করে আসছিল। তাদের কোন ধরনের সরকারি অনুমোদন ছিল না। অবৈধ ভাবে সব কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। অবৈধ গর্ভপাতের সময় কলেজ ছাত্রী ভিকটিম রিফাত সোলতানা মৃত্যু হয়। গ্রেফতারের পর মৃত্যুর সত্যতা শিকার করে জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত ৩ আসামী। পরে বিষয়টি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিকে জানালে সাথে সাথে ব্যবস্থা ও সিলগালা করেন।

এএন

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!