অবৈধভাবে তেল বিক্রি করছে সল্টগোলার পেট্রোল পাম্প, ডিলারশিপই নেই

অবৈধভাবে তেল বিক্রি করছে চট্টগ্রাম নগরের সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ‘ইমাম শরিফ ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (জেওসিএল) সঙ্গে ৮ মার্চ থেকে এই প্রতিষ্ঠানের ডিলারশিপ চুক্তি বাতিল হয়। তারপরও জ্বালানি তেল বিক্রি করে আসছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। কাগজেকলমে যমুনা অয়েল তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে দাবি করলেও ফিলিং স্টেশনটিতে প্রতিনিয়ত চলছে তেল বিক্রি।

চুক্তি বাতিলের পর এক মাস পর্যন্ত অবৈধভাবে তেল বিক্রি অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে পালন করে আসছে নিরব ভূমিকা।

এর মধ্যে গত ৮ মার্চ যমুনা অয়েলের ৪৯৩ তম পর্ষদ সভায় মেসার্স ইমাম শরীফ ফিলিং স্টেশনের ‘রিটেইলার ডিলারশিপ লাইসেন্স ফর ফিলিং স্টেশন’ চুক্তি বাতিল করা হয়।

ডিলারশিপ চুক্তি বাতিলের পর ১৫ মার্চের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে মালামাল অক্ষত অবস্থায় যমুনা অয়েলের বিপণন বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে। কিন্তু ৩০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এসব মালামাল বুঝে নিতে পারেনি যমুনা অয়েল।

অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাই তেল সংগ্রহ করেই বিক্রি অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

সর্বশেষ ৩০ মার্চ মেসার্স ইমাম শরিফ ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন চট্টগ্রামের সচিব ও পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছে যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারী। একই চিঠিতে ফিলিং স্টেশনটি সিলগালা করতে বিএসটিআইকে অনুরোধ জানানো হয়।

অবৈধভাবে তেল বিক্রি করে আসা ফিলিং স্টেশনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুধু চিঠি চালাচালিতেই সীমাবদ্ধ কর্তৃপক্ষ। দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এখনও পর্যন্ত।

জানা যায়, এর আগে ১৯৯৮ সালে মেসার্স ইমাম শরীফ ফিলিং স্টেশন পরিচালনার জন্য রিসিভার নিয়োগ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু যমুনা অয়েল কর্তৃপক্ষ রিসিভারকে সেটি বুঝিয়ে দেয়নি। আদালতের রায়কে গোপন করে যমুনা অয়েলের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ইমাম শরীফ ফিলিং স্টেশনের কর্তৃত্ব নিজের হাতে রেখেছে এহতেশাম রসুল খান রনি নামের এক ব্যক্তি।

এ বিষয়ে জানতে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আনসারীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। মন্তব্য জানতে তার হোয়াটসঅ্যাপে বিস্তারিত লিখে পাঠালেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বলেন, ‘এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কোনো চিঠি পাইনি। সংশ্লিষ্টরা আমাদেরকে জানালে ব্যবস্থা নেবো।’

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!