কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ফিশ ফ্রাই । মাছ, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীতে ভেজাল ক্যামিকেল ও পোড়া তেল মিশিয়ে মুখরোচক খাবারে পরিণত করে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। শুধু তাই নয় চিহিৃত একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুগন্ধা পয়েন্টের সরকারি খাস জমির উপর ২০/৩০টির মত ফিশ ফ্রাইয়ের দোকান নির্মাণ করেছে। গত ১৩ মার্চ রাতে সন্ধ্যার দিকে সুগন্ধা পয়েন্টের একটি ভাজা মাছের দোকান থেকে ডাব ও ফিশ ফ্রাই খেয়ে ফেরদৌস আলম খান সৌরভ (৩৫) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হলে প্রশাসন সজাগ হয়েছে। এরপর শনিবার চলে অভিযান। ওই অভিযানে দুই দোকান সিলগালাসহ ৪ দোকানকে জরিমানা করা হয়।
আল্লাহর দান নামের ভাজা মাছের সেই দোকানে সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শনিবার জরিমানা হওয়ার পরও দেদারছে বিক্রি চলছে সেখানে। অস্বাস্থ্যকরভাবে কাঁকড়া ও স্কুইডসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রয় চলছে। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ভাজা হচ্ছে মাছ। সংবাদকর্মী পরিচয়ে দোকানের মালিক মনিরের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুগন্ধা বৃহত্তর শুঁটকি, রেস্ট্যুরেন্ট, ফিশ ফ্রাই ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, ‘যদি সুগন্ধা পয়েন্টের কোন দোকানে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ফিশ ফ্রাই (ভাজা মাছ) বিক্রি করা হয় তাহলে সমিতির পক্ষ থেকে প্রশাসনকে সাথে নিয়ে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান জাহিদ বলেন, ‘যদি কোন ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই ধরনের খাবার বিক্রি করে পর্যটক এবং স্থানীয়দের সাথে প্রতারণা করে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসএস