অবরোধ হরতালে সহিংসতা বন্ধ, বিপাকে আওয়ামী লীগ

 

Sheikh-Hasina-Khaleda-Zia_0

২০দলের ডাকা টানা অবরোধ, হরতালে সহিংসতা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিএনপি সমর্থীত জোট। এ লক্ষ্যে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নামে ২০ দলীয় জোট। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে লাগাতার অবরোধ, হরতালের ডাক দেয়। এতে সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে দেশব্যাপী। এসব সহিংসতার ঘটনায় বিদেশি কূটনীতিকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকার এবং বিএনপিকে সমস্যা সমাধানে সংলাপে বসার আহবান জানায়। বিএনপির পক্ষ থেকে সে আহবানে সাড়া দিলেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো সহিংসতা বন্ধ হলেই কেবল সংলাপ হতে পারে। সহিংসতা বন্ধে কূটনীতিকরাও উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায়। ইতোমধ্যেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিএনপির কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও বন্ধ হয়েছে সহিংসতা। সমঝোতার আলোচনায় বসার এখনই সময় বলে মনে করেন রাজনীতিবীদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সংলাপের তাগিদ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের। আওয়ামী লীগের ঘোষণা অনুযায়ী সহিংসতা বন্ধের পর আলোচনা হওয়ার কথা। সে হিসেবে যে কোন সময় সংলাপের জন্য তাগিদ দিতে পারেন বিদেশি কূটনীতিকরা। আর এ সংলাপের জন্য বিব্রত অবস্থায় আওয়ামী লীগ। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সংলাপের জন্য কোন চাপ নেই। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, বিএনপি সংলাপ চায় নির্বাচনের জন্য। কিন্তু ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাথে আর কোন আলোচনার প্রয়োজন নেই বলে তিনি জানান। তবে বিএনপি তিন সিটি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় তিনি বিষয়টিকে স্বাগত জানান। বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, সংলাপের কথা বলে ফেঁসে গেছে আওয়ামী লীগ। বলা হয়েছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সংলাপ হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক কিন্তু সংলাপের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা সরকার। কারণ সংলাপ হলেই নির্বাচন দিতে হবে। আর নির্বাচন দিলেই হেরে যাবে আওয়ামী লীগ। এ জন্যই তারা নির্বাচন দিতে চায়না, সংলাপেও বসতে চায়না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, সংকট সমাধানে সংলাপের কোন বিকল্প নেই। কূটনীতিকরা সংলাপের জন্য আবারও উদ্যোগ নিতে পারে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। সরকার চাইলে যে কোন সময় সংলাপ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একজন ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংলাপের পরিবেশ এখন হয়েছে। বিন্তু এ জন্য প্রয়োজন রাজনীতিকদের সদিচ্ছা। কূটনীতিকরাও সংকট সমাধানে আবারো সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারেন। তিনি বলেন, দেশের সুশীল সমাজসহ সাধারণ মানুষ সবাই চায় শান্তি। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!