অপহরণ—মুক্তিপণের টাকা নিতে এসে জনতার হাতে ধরা দুই চাঁদাবাজ

চট্টগ্রামে দুই শ্রমিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার হয়েছে দুই চাঁদাবাজ। নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির থানার কালুআই গ্রামের শেয়ার বাড়ির মো. আবু তাহেরের পুত্র মো. সোলাইমান বাদশা (৩২), বর্তমানে পাঁচলাইশ থানার মেয়র গলির চশমা হিল এলাকার হাজেরা ভিলা ফ্ল্যাট নম্বর ২০৩ কক্ষে বসবাস করেন এবং অপরজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বাড়ী খোলা গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ির মৃত মো. সিরাজের পুত্র মো. ওমর ফারুক (২৫), বর্তমানে চান্দগাঁও থানার খাজা রোড জাহাঙ্গীর কলোনিতে বসবাস করেন।

জানা গেছে, পাঁচলাইশ থানা এলাকায় চলমান জলাবদ্ধতা নিরসনের খাল খনন প্রকল্পে আর্মি এম-৩ কনস্ট্রাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারসের অধীন কনফিডেন্স স্টিল লিমিটেড এন্ড জুডিয়াক লিমিটেডের (জেবি) শ্রমিকদের সাপ্লাইয়ের সর্দার আবু বেলাল। সম্প্রতি ওই প্রকল্পের দুইজন শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে সর্দার আবু বেলালকে ফোন করে দুইজনকে ছাড়িয়ে নিতে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

মুক্তিপণের টাকা না দিলে ওই দুইজনকে তাদেরকে হত্যা করারও হুমকি দেয়। পরে কৌশলে তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টায় মুক্তিপণের টাকা নিয়ে ষোলশহর দুই নম্বর গেটে আসলে আবু বেলাল অপহরণকারি বলে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে দুইজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে অপহৃত দুই শ্রমিককে উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।

এ ঘটনায় আবু বেলাল বাদি হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার দুইজনের মধ্যে সোলাইমান বাদশা একজন পেশাদার ছিনতাইকারি ও চাঁদাবাজ। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ মোট ৪টি মামলা রয়েছে।’

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!