অপহরণের ১ ঘণ্টা পর সাতকানিয়ার এসএসসি পরীক্ষার্থী পালিয়ে মুক্ত

২৪ ঘণ্টা পরও জানেন না থানার ওসি

ভিটে-বাড়ির বিরোধকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে ইয়াছিন আরাফাত প্রকাশ ইমরান (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সিএনজিচালিত ট্যাক্সিযোগে অপহরণের একঘণ্টা পর অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে মুক্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাজালিয়া বোমাংহাট এলাকা থেকে ইমরানকে অপহরণ করা হয়। ১ ঘণ্টা পর উপজেলার কালিয়াইশ ইউনিয়নের উত্তর সাতকানিয়া আলী আহমদ-প্রাণহরি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের বিল থেকে পালিয়ে মুক্ত হন ইমরান।

ইমরান চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিয়াকুল মাষ্টার পাড়ার কামাল উদ্দীন সওদাগরের ছেলে এবং দোহাজারী জামালুর রহমান খাঁন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

অপরদিকে অপহরণ ও পরে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি ২৪ ঘণ্টা পরও সাতকানিয়া থানার ওসি কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

অপহরণের শিকার ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘আমি শনিবার বিকালে বাজালিয়া বোমাংহাটস্থ আমার বাবার আরমান স্টোর নামে কুলিং কর্নার থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাজালিয়া-নতুনহাট সড়কের ওপর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সড়কের উত্তর পাশ থেকে একটি ট্যাক্সিযোগে আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে অপহরণ করে কালিয়াইশের একটি স্কুলের পেছনে বিলে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা বিশেষ করে আমার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লাথি, কিল ও ঘুষি দিতে থাকে। এতে আমি বেহুঁশ হয়ে পড়ি।এক পর্যায়ে আমার হুঁশ আসলে তাদের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসি।’

ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘এ সময় অপহরণকারী তিনি জনের মধ্যে আমার পাড়ার চাচাত বোনের জামাই ও কালিয়াইশ মাষ্টারহাট এলাকার আলী আহমদ ও তার খালাত ভাই মো. আলমগীরকে চিনতে পারি। অন্যজন ছিল অপরিচিত। পরে আমি রিক্সা যোগে পথচারী অন্যলোকের সহায়তায় আমার বাড়ি দিয়াকুলে চলে যায়।

ইয়াছিন আরও বলেন, ‘অপহরণকারীরা আমার কাছে থাকা একটি দামি মোবাইল ফোন সেট ও চালানি বাবদ ২২ হাজার টাকাসহ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।’

এ ব্যাপারে ইমরানের বাবা কামাল উদ্দীন সওদাগর বলেন, ‘আমার পাড়ার চাচাত ভাই আবু তাহেরের সাথে ভিটেবাড়িতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে গত ১ মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় সময় আমার সাথে আবু তাহেরের তর্কাতর্কি হলেও হাতাহাতিসহ মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এ বিরোধের জের ধরে আবু তাহের, মেয়ের জামাই আলী আহমদকে দিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করতে চেয়েছিল। এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা করব।’

কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমার ছেলে বাড়িতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পরে চমেক হাসপাতালে ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়।’

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ‘এরকম অপহরণ ও পরে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি এবং থানায় এখনও কেউ অভিযোগ বা মামলাও দায়ের করেনি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!