কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালং থেকে চার স্কুলছাত্রকে অপহরণের চারদিন পর তিনজনকে উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) টেকনাফ নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় এখনও অভিযান চলমান রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৬ এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) এক কর্মকর্তা চার ছাত্র উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন ও জাহিদুল ইসলাম। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিজানুর রহমান নামে একজনের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তাদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
রামু থানায় করা জিডি সূত্রে জানা যায়, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যায়। ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা নাগরিক।
সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছিল না। পরদিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছিল। মুক্তিপণ না দিলে তাদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলো টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের বাসিন্দা নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম (৫০), নুর সালামের মেয়ে রনজন বিবি (১৩) এবং একই ক্যাম্পের মোচনী পাড়ার আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া। তারা অপহরণের ঘটনায় জড়িত মোহাম্মদ ইব্রাহিমের স্বজন।
১৬ এপিবিএন’র অধিনায়ক এসপি তারিকুল ইসলাম জানান, টেকনাফের নয়াপাড়ার শালবন পাহাড় থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহেদুল ইসলাম মামুন ও মিজানুর রহমান নয়ন ও মো. কায়সারকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং মিজানুর রহমান নামে এখনো একজন নিখোঁজ।
কেএস