চট্টগ্রাম নগরীতে এক ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সহযোগী মামুনুর রশিদ মামুন। একই অভিযোগে পুলিশ নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মামুনের আরো তিন সহযোগীকে আটক করে।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল সম্প্রতি নগরীর এক হোটেলে তরুণী নিয়ে রাত কাটিয়ে সংবাদ শিরোনাম হন। তার সহযোগী মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় তাকে ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যবসায়ীকে ‘ব্যবসায়িক আলোচনা’র কথা বলে বাকলিয়া রসুলবাগ আবাসিক এলাকায় কয়েকজন যুবক কৌশলে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তাকে পিটিয়ে আহত করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা বিকাশে এনে ওই অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেন।
ওসি নেজাম আরো জানান, ‘ওই ১০ হাজার টাকা পেয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি। ব্যবসায়ী আল মামুনের সামনে ইয়াবা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম রেখে ছবি তুলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার আয়োজন করে। আল মামুন কৌশলে পালিয়ে এক পথচারীর মুঠোফোন থেকে পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে আমাদের সহযোগিতা নেন। অভিযোগ পেয়ে আমরা চারজনকে আটক করি। আটকদের মধ্যে মামুনুর রশিদ মামুন নামেও একজন রয়েছেন।
জানা গেছে, মামুনুর রশিদ মামুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সহযোগী। রুবেল ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর এক আবাসিক হোটেলে তরুণী নিয়ে সময় কাটিয়ে সারাদেশে সংবাদ শিরোনাম হন।
এই ঘটনায় মামুনের পাশাপাশি আব্দুল্লাহ ওয়াহিদ জিহান, মো. রমজান ও মো. আরিফকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ওপর সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানান বাকলিয়া থানার ওসির নেজাম।
এফএম/সিপি