অনুমোদন ছাড়াই ‘জীবাণুনাশক’ বিক্রি করে লোক ঠকাচ্ছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপ

লাখ টাকার জীবাণুনাশক জব্দ

অনুমোদন ছাড়াই জীবানুনাশক বিক্রি করছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সান বেসিক কেমিক্যালস। বেআইনিভাবে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, হ্যান্ডরাব, হেক্সিসলসহ নানা ধরনের জীবাণুনাশক বিক্রি করে গ্রাহক ঠকাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ধরা পড়ে এ বিষয়টি।

গত ৫ জুলাই হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের জীবাণুনাশক জব্দ করে। অনুমোদনহীন এসব জীবাণুনাশক জব্দের পরেই শুরু হয় পণ্য ছাড়িয়ে নেওয়ার নানা তৎপরতা।

তবে এসব অনুমোদনহীন পণ্য ছাড়িয়ে নিতে এসে কর্মকর্তারা জানালেন, ৯ জুলাই বাজারজাত করার অনুমোদন চেয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী একটি কেমিক্যাল অনুমোদনের জন্য আবেদনের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কারখানা, কেমিস্ট ও পণ্যের মানসহ নানা বিষয় যাচাই করে থাকেন। এরপর তারা পণ্যটি বিপণনের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।

তবে এসব প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই দীর্ঘ দুই মাস ধরে জীবাণুনাশক পণ্য বাজারজাত করে আসছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সান বেসিক কেমিক্যালস।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ‘৫ জুলাই অনুমোদনহীন এসব পণ্য জব্দ করা হয়। ১২ জুলাই সান বেসিক কেমিক্যালস কোম্পানির কর্মকর্তারা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরাবর অনুমোদনের আবেদন করার কথা বলে আবারও পণ্যগুলো ছাড়িয়ে নিতে তদবির করেন। তবে অনুমোদন না থাকায় কোম্পানির কর্মকর্তাদের জব্দ করা পণ্যগুলো দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

এ ব্যাপারে সান বেসিক কেমিক্যালস হাটহাজারী জোনের এরিয়া ম্যানেজার মসিউর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা কোম্পানিতে চাকরি করি বলে পণ্য বিক্রি করতে হয় আমাদের। পণ্যের অনুমোদন আছে কিনা তা দেখা কোম্পানির বিষয়। ৫ জুলাইয়ের অভিযানে আমাদের পণ্য জব্দের পর জানতে পারি এসব পণ্যের অনুমোদন নেই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের তত্ত্ববধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ‘সান বেসিক কেমিক্যালস পণ্য বাজারজাতের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। আবেদনের পর কারখানা, কেমিস্ট ও পণ্যের গুণাগুণসহ নানা বিষয়ে যাচাই করে তারপর অুনমোদন দেওয়া হয়। আবেদন করে কোনো জীবাণুনাশক বাজারজাতের নিয়ম নেই।’

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, ‘আমরা নিয়মিত নকল জীবানুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মানবস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অনুমোদন ছাড়া কোনো জীবাণুনাশক বাজারজাত করলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!