‘অনুপ্রবেশকারীরাই নৌকার মাঝি’— ইউপির মনোনয়ন নিয়ে খাগড়াছড়িতে ক্ষোভ

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে’ অনুপ্রবেশকারী আবদুল বারেককে ‘নৌকার মাঝি’ করায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ চরম রূপ নিয়েছে। এ নিয়ে খাগড়াছড়ির কলেজ গেইট এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করেন দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কবাখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন।

এতে অভিযোগ করা হয়, আওয়ামী লীগের উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে কবাখালী ইউনিয়নে ২০১৩ সালের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বারেক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ত্যাগী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে হাইব্রিড অনুপ্রবেশকারীদের মোটা অঙ্কের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে নির্বাচনে যোগ্য করে সংগঠনকে বিতর্কিত করার অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়নসহ হাইব্রিডদের মনোনয়ন বাতিলসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মনোনয়ন দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

তৃতীয় ধাপে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার তিন ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দুটিতেই ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়।

তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষের পরও এমন ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। তথ্যমতে, জাতীয় নির্বাচনে দীঘিনালা উপজেলাধীন কবাখালী ইউনিয়নের হাচিনসনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র সংগ্রাম কমিটিতে আবদুল বারেক ছিলেন ৭ নম্বরে। এছাড়া ২০১৩ সালের ৪নং কবাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ তুলে গত ১৬ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ কামনা করে জেলা কমিটির কাছে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মাহবুব আলম, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তবিত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. রওশন আলী ভূইয়া।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!