অনিয়মে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ, ২ দিনের টাকার হিসাব নেই

নগরে চলাচলকারী পরিবহনে অনিয়ম ও দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ অভিযানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ নিজেই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। আর এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়েছে পুলিশ বিভাগেরই পরিচালিত নিউজ পোর্টালে। ৮ দিনের সফল অভিযানে ২ দিনের তালিকায় মামলার সংখ্যা থাকলেও জরিমানার টাকার অংকের উল্লেখ নেই।৬ দিনে জরিমানা আদায় হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা। ২ দিনের হিসাবের টাকা লোপাট। নাকি তথ্যগত ভুল!

তাদের ৮ দিনের দেওয়া তথ্য ও পরিসংখ্যানের স্কিনশট পাঠিয়ে পরে ফোন করলে সিএমপির (ট্রাফিক প্রশাসন, উত্তর) মো. মহিউদ্দিন খান (যিনি পুলিশ পরিচালিত নিউজ পোর্টালের নামও জীবনে শোনেননি) একেকবার ভিন ভিন্ন তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। তবু স্বচ্ছতার প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন।

১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের এ অভিযানে ১ হাজার ৩১৮টি মামলা ও ৮ লাখ ২০ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি প্রকাশের পর এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে চট্টগ্রাম প্রতিদিন। শুধুমাত্র চলতি মাসের ৮ দিনের অভিযানের চিত্রেই ফুটে উঠেছে আয়ের অসৎ ছক।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অক্টোবর ১-১০ তারিখের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ থেকে ১০ অক্টোবর ৮ দিনে মোট মামলা হয়েছে ১০ হাজার ১১২টি, ৬ দিনে মোট আয় ৩৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ টাকা। ২ দিন শূন্য টাকা। তবে মামলা হয়েছে ২ হাজার ১৮০টি।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৮ দিনে সিএনজি সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ২৬৫টি, কাগজপত্র না থাকায় আটক হয়েছে ৮২০টি গাড়ি, সিএনজি ট্যাক্সি আটক হয়েছে ২৪৭টি।

ট্রাফিকের সাবেক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, বিষয়টির পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া সিএমপি ট্রাফিক বিভাগেরই দায়িত্ব। তবে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো তথ্যটি পুলিশের সংবাদে উঠে আসে। এখানে তথ্যগত ভুলের সুযোগ নেই।

২ দিনের তালিকায় মামলার সংখ্যা থাকলেও জরিমানার উল্লেখ নেই কেন- অনুসন্ধানে নামলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, এমনতো হওয়ার কথা নয়। হয়তো ভুলে টাকার অংক ওঠেনি। তবে ঢাকায় থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করতে না পারলেও, এ বিষয়ে ফিরে এসে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

জেএস/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!