অনিশ্চিত ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ!

inbd-1427888396

 

আইসিসির সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের আ হ ম মুস্তফা কামাল। পাশাপাশি তিনি কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন আইসিসির চেয়ারম্যান ও ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের।

 

শ্রীনিবাসন বিসিসিআইয়ের দায়িত্বে না থাকলেও এখনো বোর্ডের ওপর তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আর সেই প্রভাব খাটিয়ে শ্রীনিবাসন ঝুলিয়ে দিতে পারেন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ।

 

আগামী জুন মাসে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ভারতের। কিন্তু মোস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে শ্রীনিবাসনের যে ঝামেলা তৈরি হয়েছে সেটা সহজেই মিটে যাবে বলে মনে হচ্ছে না।

 

২৯ মার্চ ফাইনালের দিন চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে মোস্তফা কামাল বেশ কিছু কড়া কথা শোনান শ্রীনিবাসনকে। আইসিসি সভাপতির পক্ষ নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও এক প্রকার শাসান শ্রীনিবাসনকে। তারপরও সবকিছু উপেক্ষা করে চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়ার হাতে ট্রফি তুলে দেন আইসিসি চেয়ারম্যান শ্রীনি।

 

এ ছাড়া ১৯ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইসিসির কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরপর সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্যবার ফোন করা হয়েছে বিসিসিআইয়ের অফিসে। ফোন করে মওকা মওকা বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বিসিসিআই তাদের ফোনটি বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছিল।

 

ক্রিকেটবোদ্ধাদের মতে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওপর এখনও অনেক প্রভাব রয়েছে শ্রীনিবাসনের। জগমোহন ডালমিয়া বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হলেও সাধারণ সম্পাদক অনুরাগ ঠাকুরকেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হয়। আর এই অনুরাগ ঠাকুর শ্রীনিবাসনের কথায় উঠেন-বসেন। কয়েকদিন আগেও তিনি শ্রীনিবাসনের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশের মুস্তফা কামালের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন।

 

বুধবার দেশে ফিরে শ্রীনিবাসনের যে সমালোচনা করেছেন মুস্তফা কামাল তা ইতিমধ্যে শ্রীনিবাসনের কানে পৌঁছে গেছে। সব মিলিয়ে জল ঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাতে করে ঠান্ডা মাথার শ্রীনিবাসন বিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক অনুরাগ ঠাকুরের মাধ্যমে অনিশ্চিত করে দিতে পারেন আসন্ন ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!