অক্সিজেন নেবুলাইজার সাপোর্টের ‘ক্ষুদে হাসপাতাল’ গড়লেন চট্টগ্রামের ইকবাল

মাত্র ৫টি বেড বিছানো হয়েছে এতে। স্থাপন করা হয়েছে ৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার। যাতে রয়েছে শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য ব্যবহৃত নেবুলাইজার মেশিন। সঙ্গে আছে থার্মাল স্ক্যানার, প্রেশার ও ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্রও। দুই থেকে তিন জন ডাক্তার আর নার্স এখানে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে থাকবেন নিয়োজিত।

বলছিলাম চট্টগ্রাম নগরীর চাঁন্দগাও থানার মোহরা এলাকার হামিদ চরে স্থাপিত ‘ক্ষুদে’ হাসপাতালের কথা। এলাকাবাসীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগত অর্থায়নে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন ওই এলাকার ৩৪ বছর বয়সী যুবক ইকবাল হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, পেশায় তিনি ব্যবসায়ী হলেও মানবসেবা তার নেশা। মহামারী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়ার পর সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছেন। করোনার সময়ে নিজের কাধে বহন করে কর্মহীন গরীব-অসহায়দের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি খাদ্যসামগ্রী। এই মুহুর্তে হাসপাতালগুলো যখন একের পর এক রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে তখনই নিজ উদ্যোগেই ৫টি বেড নিয়ে স্থাপন করলেন প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। যেখানে দেওয়া হবে অক্সিজেন সেবাসহ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা। বর্তমানে এটি চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
অক্সিজেন নেবুলাইজার সাপোর্টের 'ক্ষুদে হাসপাতাল' গড়লেন চট্টগ্রামের ইকবাল 1
জানা যায়, নিজেদের জায়গায় গাউসিয়া আহমদিয়া শাহজী (র.) মাদ্রাসার জন্য ভাড়া দেওয়া একটা কক্ষ ও এলাকার যুবকদের সংগঠনের জন্য দেওয়া একটি কথা কক্ষ নিয়ে গড়ে তুলেছেন তিনি এই চিকিৎসা কেন্দ্র। যাতে রয়েছে ৫ টি বেড, ৩ টি অক্সিজেনের সিলেন্ডার, ১ টি নেবুলাইজার মেশিন, থার্মাল স্ক্যানার, প্রেশার মেশিন, ডায়াবেটিস মাপার মেশিনসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। এতে দুই-একজন ডাক্তার ও নার্স থাকবে। পাশাপাশি ‘হ্যালো মোহরা’ নামক সংগঠনের ডাক্তাররাও চিকিৎসা দিবেন এই ক্ষুদে হাসপাতালে।

এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। এই বৈশ্বিক মহামারিতে মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিমিটার আর নেবুলাইজার এর জন্য। এই পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক হাসপালে নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। রাত-বিরাতে কার কখন খারাপ লাগে, কার অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তারও কোন ঠিক নেই। সেই সাথে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রসার চেক, শ্বাসকষ্টের জন্য নেবুলাইজার মেশিনও সহজে পাওয়া যায় না। তাই এলাকাবাসীর এই প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো নিশ্চিত করতে আমার এই উদ্যোগ। আমার এই উদ্যোগের কারণ যদি কিছু মানুষ উপকৃত হয় তবে নিজেকে ধন্য মনে করবো।’

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!