মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ নওরোজ নিকোশিয়ার বলেছেন, মাটিরাঙ্গা জোন এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি। মাদক নির্মূল করা সম্ভব হলেই বর্তমান সমাজকে ধবংসের পথ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, এলাকায় যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তাদের সম্পর্কে সবাইকে গোপনে তথ্য দিয়ে সহযেগিতা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টায় মাটিরাঙ্গা জোন সদরে আয়োজিত মাসিক নিরাপত্তা ও মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিগত ১৬ এপ্রিল ২০১৮ থেকে মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি এলাকা থেকে তিন বাঙালি কাঠ ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার এতোদিন পরও কোন সুখবর দিতে না পারায় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেন বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতা মো. জালাল আহাম্মদ। এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারবর্গকে মহালছড়ি থানায় একটি অপহরণ মামলা করার পরামর্শ দেন মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক, মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামছুদ্দিন ভূঁইয়া, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরন জয় ত্রিপুরা, কাউন্সিলর মো. মোস্তফা, মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় রক্ষাকালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা বাবুল চন্দ্র বণিক ও জোসেফ কার্বারী প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর আরেফিন মো. শাকিল, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব বড়ুয়া, মাটিরাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কেফায়েত উল্যাহ, পৌর প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মোর্শেদ খান প্রমুখ।
এএইচ