‌‘হেইয়্যা’ প্রতিধ্বনিতে মুখরিত বাঁকখালীর দু’তীর

রামুতে কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচের ফাইনাল

কক্সবাজারের রামুতে শেষ হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। তিন দিনব্যাপী এ খেলার শেষদিনে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রামু বাঁকখালী নদীর ফতেখাঁরকুল অফিসের চর আতিক্কাবিবির ঘাট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত নৌকা বাইচের ফাইনাল খেলায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রামুর বাঁকখালীর দু’পাড় ‘হেইয়্যা’ প্রতিধ্বনিতে মুখরিত ছিল।

খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জোয়ারিয়ানালা পশ্চিম নোনাছড়ি ভাই ভাই সমিতি। রানার্সআপ হয়েছে নতুন বাহিনী তালেব মেম্বার নোনাছড়ি এবং তৃতীয় হয়েছে ইয়ং টাইগার স্পোর্টিং ক্লাব শ্রীমুরা।

তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ২৬ নৌকা বাইচ দল অংশগ্রহণ করে।

রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। তিনি বলেন, আমাদের সরকার সবসময় লোকজ সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক। যুগ যুগ ধরে রামুতে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা বিদ্যমান রয়েছে। এ খেলা উপভোগ করতে আসে রামুসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। আগামীতে যাতে এ প্রতিযোগিতা আরও ভালোভাবে করা যায়, সে প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ৩০ বিজিবির সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান, চাকমারকুল ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রশিদ নগর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভুট্টো, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল হক, ক্রীড়া সংগঠনক গিয়াস উদ্দিন কোম্পানি, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা ব্যবসায়ী মীর কাশেম হেলালী, নুরুল আলম কোম্পানি, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া প্রমুখ।

এ প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার সদর, চকরিয়া ও রামু উপজেলার মোট ২৬টি নৌকা অংশ নেয়।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!