৮ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন, চট্টগ্রামে আকর্স ট্রেডিং মালিক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সম্পদ গোপন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের আকর্স ট্রেডিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক অনুসন্ধানকালে ৫তলা বিশিষ্ট একটি একটি ভবনের নির্মাণ খরচ গোপন করেছেন ওই ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করারও তথ্য পেয়েছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বাদি হয়ে স্বামী ও স্ত্রীর পৃথকভাবে দুটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত হলেন, মের্সাস আকর্স ট্রেডিং কোম্পানি, ইউনীশিপ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং মের্সাস মাউ সল্ট ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী ও অংশীদার এম ইউ এম আবুল হোসাইন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বন্দর থানার ফকিরহাট এলাকার স্ট্যান্ড রোডে। তার স্ত্রীর নাম মিসেস ফয়জুন নেছা হোসাইন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন।

মামলায় এম ইউ এম আবুল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ১২ টাকা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ এনেছে দুদক।

মামলার বিবরণে বলা হয়, আসামিরা ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট সম্পদ বিবরণী দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশনে। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে বলা হয়, তাদের ২০ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ২০২ টাকা স্থাবর সম্পদ ও ৫৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২১ কোটি ১৯ লাখ ৭২ হাজার ২০২ টাকা রয়েছে।

দুদক কর্মকর্তার যাচাইকালে এম ইউ এম আবুল হোসাইনের নিজ নামে ১১ কোটি ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৪৮ লাখ ১২ হাজার ৭৫০ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১১ কোটি ৫৯ লাখ ১২ হাজার ২৫০ টাকার তথ্য পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পারিবারিক ব্যয় ও অন্যান্য খরচ বাবদসহ তার মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১২ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা।

তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। ৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার ১২ টাকা নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর এলাকার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শন না করে আসামিরা তথ্য গোপন করেছেন। অবৈধ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে।

এদিকে তার স্ত্রীর মিসেস ফয়জুন নেছা হোসাইনের বিরুদ্ধে ৯৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।

এমএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm