৮২ দিন পর ‌‘বন্দুকযুদ্ধ’, রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি নিহত

কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যার দীর্ঘ ৮২ দিন পর বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ইয়াবা কারবারি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ সময় ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের পাশে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে৷ নিহত ইয়াবা কারবারি মো. আদহাম (৩০) তুমব্রু কোনাপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের আবুল হাশেমের ছেলে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমদ জানান, বুধবার (২১ অক্টোবর) ভোরে খবর আসে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বাইশফাঁড়ি বিওপি এলাকা দিয়ে মাদকের চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাইশফাঁড়ি বিওপির দুইটি আভিযানিক টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নম্বর ঘুমধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইশফাঁড়ি মক্করটিলার উত্তর দিকে রাস্তার ঢালুতে অবস্থান নেয়। এসময় ১০-১২ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে আসতে দেখে বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ইয়াবা কারবারিরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় নিজেদের জানমাল রক্ষার্থে বিজিবির টহল দলও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। তখন ইয়াবা কারবারিরা পাহাড়ি জঙ্গল দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। তাকে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার সময় জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে দেশিয় তৈরি একটি একনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজহ ৪০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। গোলাগুলির সময় বিজিবি দুই সদস্য আহত হন। তাদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এসএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!