চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে যুবলীগ নেতাকর্মীরা।
নগর যুবলীগের সংগঠক, সাবেক ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে সকালে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনায় মিলিত হয়। এছাড়া এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হয়।
মোস্তফা পলিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এহসানুল হক ডিউক, মীর মো. ইকবাল, জোবায়ের বশর, এসএম কামাল, জালাল আহমেদ রানা, মুজিবুর রহমান শিবলী, মো. রাশেদ, শুভ দাশ,মো. সাদ্দাম, ইরফান আলী ফাহিম, ইমদাদুর রহমান রিয়াদ, মোর্শেদ আলী, মো. আকবর, জিসান হোসেন, হাবিব পারভেজ, আহসান উল্লাহ, মিরাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ হারুন, টারজেন দাশ, জিয়াউদ্দিন সানি, আশিক শোভন, শাহাদাত আহমেদ, শাহরিয়ার শুভ, মো. রায়হান, হোসেন মোবারক রুবেল, মোহাম্মদ নয়ন, মোহাম্মদ আকিব, পার্থ প্রীতম, ধ্রুব ঘোষ।
বক্তারা আরও বলেন, ‘এই দিনে লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা ঘোষণা করেন—‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা’। একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।’
বক্তারা বলেন, ‘বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ এর ৭ মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন, ইতিহাসে বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে থাকার ইতিহাসের ধারাবাহিকতাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।’