৮ মাস আগে দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ২১ লাখ টাকায় লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রি করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব স্ক্র্যাপের প্রকৃত মূল্য ছিল ৭ কোটি টাকা। বন্দরের এই অনিয়ম ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে টানা ছয় ঘণ্টা এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদকের তিন সদস্যের দল। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হকের নেতৃত্ব দেন।
দুদক জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় দুদক টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সঙ্গে কথা বলার পর সংশ্লিষ্ট শাখার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। কাগজপত্র যাচাইকালে দেখা গেছে, টেন্ডারের কার্যক্রম শেষ হলেও ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ করা হয়নি। এসব মালামাল বিক্রি করা হয়েছে ১ কোটি ২১ লাখ টাকায়। কিন্তু এসব স্ক্র্যাপের প্রকৃত মূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। সেই হিসেবে হেরফের হয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরের ভান্ডার শাখার ৩১, ৩২, ৫৮, ৫৯, ও ৬০ নম্বর লটে লোহার স্ক্র্যাপসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাগজ, রেকর্ডপত্র, স্টক রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার ও স্টক করা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এসব লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করে চট্টগ্রাম বন্দর।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক। তিনি বলেন, ‘গত বছর সেপ্টেম্বরে লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাস্তবে সেখানে ৭ কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ ছিল। সেখানে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ওই লোহার স্ক্র্যাপ বিক্রি করে মাত্র ১ কোটি ২১ লাখ।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযানের বিষয়ে যাবতীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও মালামালের ওজন পরিমাপ সাপেক্ষে বিস্তারিত প্রতিবেদন অতি শীঘ্রই দুদকের প্রধান কার্যালয় বরাবরে দাখিল করা হবে।’
এমএ/ডিজে