৭ কাস্টমস কর্মকর্তা ও ১৫ সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে ১৮ মামলা দুদকের

সিএন্ডএফ এজেন্টদের ক্ষমতা অপব্যবহার, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতি ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা পণ্য খালাসের অভিযোগে সাত কাস্টমস কর্মকর্তা ও ১৫ সিএন্ডএফ এজেন্টসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা, সহকারী পরিচালক আফরোজা হক খান ও উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান বাদি হয়ে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মোট ১৮ মামলা দায়ের করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১।

দুদকের মামলায় অভিযুক্ত কাস্টম কর্মকর্তারা হলেন মো. শফিউল আলম (চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), হুমাউন কবির (চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা), মো. নিজামুল হক রহমান (চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকতা), প্রাণবন্ধু বিকাশ পাল প্রকাশ বি পি পাল (সাবেক কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা), সৈয়দ হুমাউন আখতার (সাবেক কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা), মো. সফিউল আলম (সাবেক কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা) মো. সাইফুর রহমান (সাবেক কাস্টাম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা)।

এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত ১৫ সিএন্ডএফ এজেন্টরা হলেন মো. কাসিফ ফোরকান (মেসার্স গ্যাবী ট্রেড ইন্টান্যাশনাল), মো. হারুন শাহ (এম আর কর্পোরেশন) এম এ আলীম (একে ট্রেড ইন্টান্যাশনাল), মো.মমিনুল ইসলাম (পদমিতা সুজ), মির্জা মো. আহসানুজ্জামান (কিংশিপ শিপিং এজেন্সি) মো. মুসা ভূঁইয়া (জে জে কর্পোরেশন), মইনুল আলম চৌধুরী ওরফে মইনুল আলম ও মো. সাইফুল আলম চৌধুরী (এম সি শিপিং এজেন্সি) হাজী ফোরকান (মোসার্স শামস ট্রেড) মো. জহিরুল ইসলাম (মোসার্স জেড আই ইন্টারন্যাশনাল), মো. রুবেল আহমেদ (মেসার্স টরেন্টা ইন্টারন্যাশনাল), মো. আইনুল হক (মেসার্স সাহারা ইন্টারন্যাশনাল), মো. সাহিদুর রহমান (মেসার্স সামি এন্টাপ্রাইজ) ফাহাদ আবেদীন সোহান (মেসার্স আবেদা ট্রেডার্স), জোতিময় সাহা (পূজা এজেন্সি), মো. নুরুল আলম (চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার গোবিন্দপুর গ্রামের শেখ আহম্মদের পুত্র) আবুল হাসনাত সোহাগ (কেরানীগঞ্জের জিনজিরা থানার আগানগর ছোট মসজিদ চেয়ারম্যান বাড়ির মো. হোসেনের পুত্র)।

উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন জানান, দুদকের তদন্তে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সাত কর্মকর্তা, ১৫ সিএন্ডএফ এজেন্সির প্রোপ্রাইটরসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে কাগজপত্র জালিয়াতি, ক্ষমতা অপব্যবহার ও মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্য খালাস করে প্রায় ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৭ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোট ১৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে চট্টগ্রাম কাস্টামস হাউজের আমদানি পণ্য খালাসের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১, চট্টগ্রাম। দীর্ঘ নয় বছর পর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের তথ্য জানানো হয়।

এএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!