৬ ম্যাজিস্ট্রেট—১৫০ পুলিশের অভিযান বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডে

ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব দিবেন একটি অভিযানে! ১৫০ পুলিশের একটি বিশাল টিম থাকছে তাদের সঙ্গে। র‍্যাবের একটি বিশেষায়িত টিমও অংশ নিচ্ছে এই অভিযানে। ৬৫ জন শ্রমিকের পাশাপাশি এই অভিযানে থাকছে ফায়ার সার্ভিস, পিডিবির একটি করে টিম। জরুরি মেডিকেল সার্ভিসের জন্য রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সও।

চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের পাশে পাহাড়ে অবৈধ বসতি উচ্ছেদের জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতির গল্প এটি। কারণ অবৈধভাবে একের পর এক পাহাড় সাবাড় করে এই সড়ক তৈরি করায় বর্ষায় এই সড়কে ধসে পড়ছে পাহাড়। তাই বড় সংখ্যার প্রাণহানি রোধে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে স্থাপিত হাজারো অবৈধ বসতি জরুরিভিত্তিতে উচ্ছেদে নেমেছে জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে জেলা প্রশাসন পরিচালিত অভিযানের মধ্যে এই অভিযানেই সর্বোচ্চ সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

১৪ জুন (মঙ্গলবার) সকাল থেকে ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩টি দলে ভাগ হয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

এর মধ্যে লিংক রোডের কাট্টলী অংশে অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন চান্দগাঁও সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক এবং কাট্টলী সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।

লিংক রোডের হাটহাজারী অংশে অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন হাটহাজারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্যাহ এবং পতেঙ্গা সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
এহসান মুরাদ।

লিংক রোডের সীতাকুণ্ড অংশে অভিযানে অংশ নেন সীতাকুণ্ড সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল ইসলাম এবং সদর সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের পাশে পাহাড়ে অবৈধ বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা। ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৫০ জন পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের একটি করে টিম, পিডিবি এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। ৬৫ জন শ্রমিক এই অভিযানে উচ্ছেদের কাজ করবে।’

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!