চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। যা গত অর্থ বছর থেকে ৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বেশি। করোনাকালেও গত বছর প্রবৃদ্ধির হার ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ। এবার এর চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি আদায় হয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস জানায়, এবার ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকার রাজস্ব বকেয়া রয়ে গেছে। বকেয়া আদায় হলে চলতি অর্থবছরের মোট আদায় হতো ৬৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।
এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় হয়েছিল ৪১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।
যদিও গত অর্থবছরে ৫১ দশমিক ৫৭৬ কোটি টাকা আদায় করে ৫০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলকে প্রবেশ করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। যা এ বছরও ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছর বিপুল পরিমাণ বকেয়া রাজস্ব আদায় না হওয়ায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস যার প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ পেছিয়ে গেছে। যদি বকেয়া আদায় হতো তাহলে কাস্টসের প্রবৃদ্ধি হতো ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ।
পেট্রোবাংলা, পদ্মা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল, সামিট এলএনজি, এক্সিলারেট এনার্জি, বাংলাদেশ পুলিশসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে।
বকেয়াসহ মোট চলতি অর্থবছরের আদায় দাঁড়াতো ৬৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। যদিও পেট্রোবাংলা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সবচেয়ে বড় রাজস্বদাতা প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। অতীত সময় থেকে অনেক দুর এগিয়েছে কাস্টমসের রাজস্ব আদায়। কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে আমাদের পাওয়ানা প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা নিরঙ্কুশ রাজস্ব— যা আমাদের প্রাপ্য। এ টাকাসহ আমাদের রাজস্ব আদায়ের পুরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।’
সিপি