৬০ লাখ টাকার উন্নয়নের এই সুফল চাতরী চৌমুহনী বাজারে

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারের উন্নয়ন প্রকল্পের ৬০ লাখ টাকার সুফল দেখল না ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। সামন্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। ফলে দুর্ভোগে পোহাতে হয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। সড়কের পাশে পানি চলাচলের জন্য উপজেলা প্রশাসন একবছর আগে ৬০ লাখ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ করলেও তার সুফল দেখল না কেউ।

উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা গেছে, পিএবি সড়কের চাতরী চৌমুহনী বাজারের পানি নিস্কাসনের জন্য ১৮-২০১৯ অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসন ৬০ লক্ষ টাকা প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে। এরমধ্যে সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ, চলাচলের জন্য ফুটপাত তৈরি, গোল চত্বরও রয়েছে। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সড়কে পূর্বের অবস্থা ফিরে আসায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। বৃষ্টির পানির জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলেও যথাযত সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করায় বর্জ্য জমাট বেঁধে বন্ধ হয়ে যায় পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। আর জমে থাকায় বৃষ্টির পানি ও কাদায় রাস্তা হয়ে উঠেছে চলাচলের অনুপযোগী। এতে বাজারের পাশের সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদেরও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। মার্কেটে ঢুকতে দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতারা, ব্যবসায়ী ও হাজারো পোষক শ্রমিকরা।
৬০ লাখ টাকার উন্নয়নের এই সুফল চাতরী চৌমুহনী বাজারে 1

বুধবার (১০ জুন) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাতরী ইউনিয়ন বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গেট থেকে সিইউএফএল সড়ক চাতরী কাঁচাবাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০ ফুট প্রশন্ত সড়কের উভয় পাশেই গড়ে উঠেছে শতাধিক দোকান। এই দোকানগুলোর কারণে সড়ক সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সড়কের উল্টোদিকের ফুটপাতের পুরোটাই অবৈধ দখলে। পথচারীদের চলাচলের জন্য কেনো জায়গা রাখা হয়নি সড়কের মধ্যে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজটের কারণে ভোগান্তির মুখে পড়েন কেইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সরকারি বেসকারি প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই দেখছি অল্প বৃষ্টিতেই বাজারে পানি জমে যায়। পানি চলাচলের ড্রেন থাকলেও পরিষ্কার না করায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এটা বৃষ্টির মৌসুম। এ সময় প্রায়ই বৃষ্টি হবে। বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের দুর্ভোগে শেষ নেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ওই স্থানে ড্রেন আছে, কিন্তু আউটলেট নেই। ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সড়কটির আশপাশের ব্যবসায়ীদের বর্জ্য ড্রেনে ফেলার কারণেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। যারা এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওযা হবে।

তিনি আরও বলেন, সড়ক দখল করে যারা অবৈধভাবে দোকান গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm