দেশের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ ৫ মাসের বেতন ও ১৭ মাসের বকেয়া ওভারটাইম পরিশোধ না করেই সিঙ্গাপুরে চলে গেছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
গতকাল শনিবার (১৮ এপ্রিল) পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত শিপইয়ার্ডের মুল গেটে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শ্রমিকরা জানান, আমরা এ প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ করি। বিগত ৫ মাস ধরে আমাদের বেতন বন্ধ। এছাড়াও গত ১৭ মাস ধরে আমাদের শ্রমিকদের ওভারটাইম পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতেও আমাদের পাওনা না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের এমডি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা আরো জানান, গত ২৬ মার্চ থেকে শিপইয়ার্ড বন্ধ। সিকিউরিটি গার্ড ছাড়া মালিকপক্ষের কেউ নেই। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আমাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। মালিকপক্ষকে না পেয়ে আমরা কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছি। এছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না। আমরা পরিবার পরিজনদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কর্মকর্তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি করোনাভাইরাসের কারণে দুর্যোগকালীন সময়ে মালিকপক্ষ আমাদের পাশে নেই। আমাদের পাওনাও পরিশোধ করছেন না। এটি কোন ধরনের মানবতা। এ মহামারির সময়ে অন্তত আমাদের চাকরির বেতনটুকু হলেও পরিশোধ করার আহবান জানাচ্ছি।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলি আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের অন্য আরেকটি প্রজেক্ট থেকে টাকা পাওয়ার কথা সে টাকাগুলো না পাওয়ার কারণে এ অবস্থার অবতারণা হয়েছে। এখন তো শিপইয়ার্ড বাণিজ্যের অবস্থা খারাপ। তার উপর আমাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সব কাজ থমকে আছে। তারপরও আমি গতকাল ও আজ সকালেও কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। এ মাসের শেষের দিকে ব্যাংক থেকে বা অন্য যে কোনভাবে কিছু টাকা ম্যানেজ করে অন্তত এক মাসের বেতন হলেও দিয়ে তাদেরকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করব।’
এসএস