৫ নেতার ৪ ঘন্টার নিস্ফল বৈঠক সীতাকুণ্ড পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে

৫ নেতার ৪ ঘন্টার নিস্ফল বৈঠকে ঠিক হল না সীতাকুণ্ড পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের প্রাথমিক প্যানেল।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের প্যানেল তৈরির জন্য চার ঘন্টা ধরে বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগ। শেষে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগকে প্যানেল প্রস্তুতের দায়িত্ব দিয়ে ওই সভার ইতি টানা হয়।

বুধবার (২৫ নভেম্বর) পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নের প্যানেল প্রস্তুত করার জন্য বর্ধিত সভার আয়োজন করে সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগ।

চট্টগ্রাম নগরীর নিউ মার্কেটস্থ দোস্ত বিল্ডিংস্থ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, সীতাকুণ্ডের সাংসদ দিদারুল আলম, সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভা
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভা

সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র বদিউল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রাথমিক প্যানেল প্রস্তুত করতে বর্ধিত সভা করেছিলাম আমরা। মোট ১৬ জন মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন। এদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে একটা প্যানেল আমরা প্রস্তুত করে দেয়ার কথা। যারা দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারবেন। কিন্তু এখানে আমি নিজেও প্রার্থী, আবার আমাদের সাধারণ সম্পাদকও প্রার্থী। তাই প্যানেল নির্বাচনের কাজটা আমরা করিনি। আমরা উপজেলা ও জেলা নেতাদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। উনারা সিদ্ধান্ত দেবেন।’

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় সরকার পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বর্ধিত সভা করে একটি প্যানেল প্রস্তুত করবেন। উপজেলা ও জেলা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদনক্রমে সেই তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সেই তালিকা থেকেই একজনকে মনোনয়ন দেবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড।

ইউনিট পর্যায়ে এই প্যানেল নির্বাচনের বর্ধিত সভা করার কথা থাকলেও কোন্দল এড়াতে তিন ভাগে বিভক্ত সীতাকুণ্ড পৌরসভা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয় জেলা কার্যালয়ে। শেষ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় এই সভা।

মেয়র বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা বিকেল চারটার দিকে সভা শুরু করেছিলাম। রাত আটটা পর্যন্ত আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রার্থীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেছি।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!