অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে অগ্রিম টাকা পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে গ্রাহকের কাছে।
একই শহরের মধ্যে হলে সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহর বা গ্রামে হলে ১০ দিনের মধ্যে অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে।
বুধবার (৩০ জুন) একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা ই-কমার্স নির্দেশিকার খসড়ায় এই গাইডলাইন প্রস্তাব করা হয়েছে। চূড়ান্ত এই খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে এবং পরবর্তী সময়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত করবে সরকার।
বর্তমানে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের কাছ থেকে পুরো টাকা অগ্রিম নিয়েও অর্ডার করা পণ্য দিতে ৪৫ দিন বা তারও বেশি সময় নেয় বলে প্রচুর গ্রাহকের অভিযোগ।
গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো অগ্রিম টাকা পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পণ্য সরবরাহের পরিষেবাগুলোতে অর্ডার করা পণ্য হস্তান্তর করবে এবং এসএমএস, ইমেইল বা ফোন কলের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেটা জানিয়ে দেবে। এর পরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারিম্যান বা অন্য মাধ্যম মারফত গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করবে।
প্রস্তাবিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনও পণ্য ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডেলিভারি দেওয়া না যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো ১০% এর বেশি অগ্রিম টাকা নিতে পারবে না। তবে ১০০ ভাগ অগ্রিম টাকা নেওয়া যাবে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের এসক্রো পরিষেবার মাধ্যমে।
কোনও প্রয়োজনীয় আইটেম অর্ডারে যদি একাধিক পণ্য থাকে, তবে সেখানে ডেলিভারি চার্জ হবে অভিন্ন। তবে অর্ডার করা পণ্য যদি বিভিন্ন বিক্রেতা থেকে আসে তবে আলাদা ডেলিভারি ফি নেওয়া যেতে পারে। এই ব্যাপারে গ্রাহককে অর্ডার নিশ্চিত করার আগে অবহিত করতে হবে।
যদি কোনও সংস্থা নির্ধারিত গাইডলাইন মানতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সরকার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল, কোম্পানির নিবন্ধন প্রত্যাহার, অনলাইন মার্কেটপ্লেস নিষিদ্ধ, এবং মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন বাতিল করা সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে পারবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে গ্রাহকদের দেওয়া অগ্রিম অর্থ সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। যদি এক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত চার্জ পড়ে, তবে তা গ্রাহকের ওপর নয়, এটি ওই কোম্পানির ওপরই পড়বে।
সিপি