৫ চবি শিক্ষার্থীর পর এবার দুই টেকনিশিয়ান অপহরণ খাগড়াছড়িতে, উদ্ধার হয়নি কেউ

খাগড়াছড়িতে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অপহরণের পাঁচদিনের মাথায় ফের মুঠোফোন কোম্পানির দুই টেকনিশিয়ানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মানিকছড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন রবি কোম্পানির মানিছড়ি জোনের কর্মকর্তা মং থ্রই।

অপহরণের শিকার দু’জন হলেন—মো. ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও আব্রে মারমা (২৫)।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার ময়ুরখীল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামত করতে গেলে মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

মানিকছড়ি থানার ওসি শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, গত ২২ জানুয়ারি সন্ত্রাসী হামলায় একটি মোবাইল কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ার মেরামত গিয়ে দুজন টেকনিশিয়ান অপহরণ হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। রোববার রবি কোম্পানির একজন কর্মকর্তা থানায় এসে নিখোঁজ ডায়েরি করে গেছেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে কাজ করছে।

এর আগে ২২ জানুয়ারি ভোরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, মানিকছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার কয়েকটি মোবাইল টাওয়ার ভাঙচুর ও আগুনে জ্বালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারের আওতায় থাকা কয়েক হাজার মোবাইল গ্রাহক সেবাবঞ্চিত।

এদিকে গত ১৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। একইসঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির চালককেও নিয়ে যায় তারা। পাঁচদিনেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণি বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।

রোববার খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘আদিবাসী ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে খাগড়াছড়ি শহরে এই মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সোয়া ১০টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের মহাজনপাড়া সূর্য শিখা ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শাপলা চত্বর হয়ে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়। পরে সেখানে সড়কের ওপর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার ও কাউখালীর ঘটনার বিচার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm