৫৯ টাকা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার

0

চট্টগ্রামের কোতোয়ালীর বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী সদরঘাট এলাকার হোটেল ডিলাইটে খাওয়ার পর বিল দেন ১১৯০ টাকা। সে টাকার ভ্যাট আসে ৫৯ টাকা। তিনি সেখান থেকেই ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) এর মাধ্যমে ৫৯ টাকা ভ্যাট প্রদান করেন। আর সে ভ্যাট দিয়েই পুরস্কার পেলেন ১০ হাজার টাকা।

রাউজানের অভিজিৎ দাশ চট্টগ্রামের লালখান বাজার হাইওয়ে সুইটস থেকে ১৫৬৫ টাকার মিষ্টি কিনেন। তার ভ্যাট আসে ৭৮ টাকা। তিনিও তৎক্ষণাৎ ইএফডির মাধ্যমে ৭৮ টাকা ভ্যাট দিয়ে জিতে নেন ১০ হাজার টাকা পুরস্কার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক সেপ্টেম্বর ২০২১ এর ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) লটারিতে ৪র্থ পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার জিতেছেন অভিজিৎ দাশ ও ওয়াজেদ আলী। বুধবার বিকেলে (২৭ অক্টোবর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে বিজয়ী দুইজনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন।

s alam president – mobile

এসময় তিনি বলেন, ‘বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ৫২০টি মেশিনের পাশাপাশি আরও মেশিন স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ক্রেতাদের কেনাকাটায় বিল পরিশোধের সময় বিক্রেতাকে ইএফডি হতে চালান বা ইনভয়েস ইস্যু করতে হয়। পুরো মাসে ইস্যুকৃত মোট চালান হতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রতি মাসের ৫ তারিখে লটারির মাধ্যমে ১০১ জন ভাগ্যবান ক্রেতাকে পুরষ্কারের জন্য নির্ধারণ করে। মূলতঃ ক্রেতাকে ভ্যাট চালান গ্রহণে আগ্রহী করার জন্য এ লটারির ব্যবস্থা করা হয়।’

জানা যায়, নীতিমালা অনুযায়ী বিজয়ীদের ইনভয়েস নম্বর চালানের কপি আইডি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে পুরস্কারের চেক হস্তান্তরের জন্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ইএফডি মেশিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত রয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদের প্রদত্ত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিত হচ্ছে।

এছাড়াও ক্রেতাদের বা ভ্যাটদাতাদের উৎসাহিত করতে প্রতি মাসের ৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি বিশেষ লটারির আয়োজন করেছে। এ লটারিতে ১০১টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Yakub Group

পুরস্কার বিতরণ সভায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক, যুগ্ন কমিশনার মুশফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অভিজিৎ দাশ বলেন, ভ্যাট দিয়ে যে পুরস্কার পাওয়া যায় সেটি আগে জানতাম না। এখন পুরস্কার পেয়ে বুঝলাম। ওয়াজেদ আলী বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নেন। কিন্তু সেই ভ্যাট সরকারের কাছে জমা হয় কি-না আমাদের সন্দেহ থাকে। কিন্তু ইএফডি মাধ্যমে ভ্যাট দিয়েই প্রমাণ পেলাম আমাদের কাটা সরকারে দপ্তরে যাচ্ছে। এটি গর্বের বিষয়। এখন পুরস্কার পেয়ে খুশি লাগছে। আগামীতে যা ক্রয় করবো সব খানেই ভ্যাট দিব।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!