৫২ বছর আগের স্কুলছাত্ররা একত্র হলেন কাটিরহাট স্কুলে

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৬৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন স্মৃতিকাতর এক পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে। ওই উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসাবে খ্যাত এই কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়। ৫২ বছর আগে যারা এই স্কুল থেকে মেট্রিক বা এখনকার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের প্রায় সবারই বয়স এখন ৭০ ব্ছরের আশেপাশে।

কিশোরবেলার স্মৃতি হাতড়ে প্রবীণ সেই মানুষগুলোই একত্র হয়েছিলেন চমৎকার এক আয়োজন নিয়ে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) হাটহাজারী কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের আবদুল অদুদ সেরেস্তাদার মিলনায়তনে ৬৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় স্মৃতিচারণ সভার।

৫২ বছর আগের স্কুলছাত্ররা একত্র হলেন কাটিরহাট স্কুলে 1

এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থী এবং পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. কিউ এম ওহিদুল আলম। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইন্দু নন্দন দত্ত।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক (অব.) আবু তালেব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অধ্যাপক মঈনুদ্দিন, প্রবীণ শিক্ষাবিদ মিহির কান্তি শীল, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য শাহনেওয়াজ হোসেন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

৫২ বছর আগের স্কুলছাত্ররা একত্র হলেন কাটিরহাট স্কুলে 2

পূণর্মিলনী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেকান্দর মিয়া সাংগঠনিক প্রতিবেদন পাঠ করেন।

নূরুল আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করেন যথাক্রমে মাস্টার খায়রুল হক ও অনিল চন্দ্র নাথ।

৬৯ ব্যাচের পূণর্মিলনী উপলক্ষে মোহাম্মদ আলীর সম্পাদনায় ‘বন্ধন’ নামে একটি আকর্ষনীয় স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কাটিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠাগারকে সমৃদ্ধ করার জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ বেশ কিছু বই দেওয়া হয়।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রূপান্তরিত করতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা যুগোপযোগী মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজ উন্নয়ন ভূমিকা রাখতে পারবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে উঠবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!