মাত্র ৫২ বছর বয়সে থেমে গেল জিএমই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট শিল্পপতি, উদ্যোক্তা ডা. চৌধুরী হাসান মাহমুদের জীবনচাকা।
মঙ্গলবার (২১ ডিসম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ডা. চৌধুরী হাসান মাহমুদ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি গ্রামের নিবাসী মরহুম শিল্পপতি এম আর চৌধুরীর দ্বিতীয় পুত্র এবং আবদুল মোনেম লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা শিল্পপতি মরহুম আবদুল মোনেম সাহেবের কনিষ্ঠ কন্যা ও জিএমই গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. ফারহানা মোনেমের জীবনসঙ্গী ছিলেন।
দেশের স্বাস্হ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর। অত্যাধুনিক মেডিকেল যন্ত্রপাতির আমদানি, বিপনন, বাজারজাত করণ এবং উন্নতমানের মেডিকেল ডিভাইস উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। এছাড়াও এগ্রো কেমিক্যালস, গবাদি পশু, মুদ্রণ শিল্প ইত্যাদি সেক্টরেও তাঁর বিশাল ভুমিকা রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরহুমের নামাজের জানাযা বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর ঢাকার গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
চৌধুরী হাসান মাহমুদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন জিএমই পরিবার। শোক বার্তায় তারা জানায়, আমাদের অত্যন্ত প্রিয় অভিভাবক ও জিএমই গ্রুপের ব্যবস্হাপনা পরিচালক চৌধুরী হাসান মাহমুদের অকাল প্রয়াণে জিএমই পরিবার খুবই মর্মাহত,ব্যথিত ও শোকাভিভূত। তিনি অত্যন্ত ভদ্র, নম্র,অমায়িক, নিরহঙ্কার ও সদালাপী একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহপাক উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আল্লাহ উনার শোক সন্তপ্ত পরিবারকে এ বিশাল শোক কাটিয়ে উঠার তৌফিক দিন।
এদিকে শেভরণ পরিবারের পক্ষ থেকে শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জিএম পুলক পারিয়াল তাঁর মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আরএম/এমএহক