৪ শর্ত মেনেই বিদেশ থেকে আনতে হবে শিশুর খাবার

করোনা পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি শর্ত শিথিল করা হলেও এখন থেকে শিশুখাদ্য আমদানিতে আগের মতো সব শর্তই মানতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কয়েকটি শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই শিথিলতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতর থেকে জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করোনাকালে জারি করা শিথিলতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রধান আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আওলাদ হোসেন জানান, কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী প্রভাব ও সংকট মোকাবিলায় শিশুখাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে কয়েকটি শর্ত শিথিল করে গত ১১ মে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৭ জুলাই আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগের শিথিলতা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এখন থেকে শিশুখাদ্য আমদানি করতে হলে সব শর্ত মানতে হবে। সেগুলো হচ্ছে—

১. আমদানিকৃত ননীযুক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য ও শিশুখাদ্য টিন বা বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্সের ওপর দৃশ্যমান স্থানে ‘মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ কথাটি বাংলায় সুস্পষ্টভাবে ও অপেক্ষাকৃত বড় হরফে লিখে রাখতে হবে।

২. মিল্ক ফুডের টিন বা বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্স এর ওপর দুধের উপাদান এবং বিভিন্ন উপকরণের আনুপাতিক হার বাংলায় লেখা থাকতে হবে।

৩. প্রতিটি টিনসহ বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্স এর গায়ে মিল্ক ফুডের প্রকৃত ওজন (নিট ওয়েট) বাংলা বা ইংরেজিতে লিখে রাখতে হবে।

৪. দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত শিশুখাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে পরিচালক জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের (আইপিএইচএন) দেওয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর স্পষ্ট অক্ষরে প্রতিটি টিন বা টিনসহ বায়ুরুদ্ধ মোড়ক বা ব্যাগ ইন বক্সের গায়ে উল্লেখ থাকবে হবে। এছাড়া আমদানি নীতি অনুয়ায়ী অন্যান্য শর্তও মেনে চলতে হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!