চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বহুল আলোচিত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস পর এ ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নিকট প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।
বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেট সভায় এটা উপস্থাপন করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয় গত জানুয়ারি মাসে। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার মাসখানেক পর বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ বেচাকেনা, ১৬ লাখে শিক্ষক—৮ লাখে মালি‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।
এরপর গত ৫ মার্চ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজীকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানান উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে তদন্ত কমিটি অদৃশ্য কারনে গঠনের ৪ মাস পর প্রতিবেদন জমা দেয়।
ফাঁস হওয়া পাঁচটি ফোনালাপ ছিল উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মুকাররবীন ও হিসাব নিয়ামক দপ্তরের কর্মচারী আহমদ হোসেনের সঙ্গে দু’জন নিয়োগ প্রার্থীর। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শােনা যায়।
অপর একটি ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলাের শীর্ষব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়ােজন বলে উল্লেখ করেছেন কর্মচারী আহমদ হোসেন।
এমআইটি/সিপি