‘অ্যাসাইনম্যান্ট প্রশ্ন ৩ টাকা। উত্তর ১০ টাকা, এখানে ১০ম সপ্তাহের এ্যাসাইনম্যান্ট প্রশ্ন ও উত্তর সহকারে পাওয়া যায়।’
এসব কথাবার্তা লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের এ্যাসাইনমেন্ট কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকানে বিক্রি হচ্ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারায়।
শনিবার (২৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বাদামতল এলাকায় এস. এস কম্পিউটার এন্ড ডিজিটাল স্টুডিও নামের একটি দোকানে এমন সাইনবোর্ড ঝুলতে দেখা যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন জানান, অ্যাসাইনম্যান্টের উত্তর শিক্ষার্থীদের নিজ থেকে লিখতে হবে, অন্য কেউ বা দোকান থেকে সরবরাহের কোনো নিয়ম নেই।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা মহামারির কারণে সরকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় মনোযোগী রাখতে অ্যাসাইনম্যান্ট ভিত্তিক পাঠ চালু করে। প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এখন অ্যাসাইনম্যান্ট পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। অ্যাসাইনম্যান্টগুলো নিজ নিজ বিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা হয়। এক সপ্তাহ পর শিক্ষার্থীরা বিষয় ভিত্তিক উত্তর বিদ্যালয়ে জমা দিয়ে থাকে। আগামী এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষাও অ্যাসাইনম্যান্ট পদ্ধতিতে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এভাবেই করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু এই অ্যাসাইনম্যান্টের উত্তরসহ যদি কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান থেকে সরবরাহ করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের মেধা ভিত্তিক মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আনোয়ারার বিভিন্ন মহল ও অভিভাবকদের মাঝে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বখতিয়ারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওসমান গনি বলেন, ‘করোনা মহামারির পর থেকে বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সরকার। অ্যাসাইনম্যান্টের মাধ্যমে বিগত বার্ষিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই অ্যাসাইনম্যান্ট শিক্ষার্থীকে নিজ থেকেই লিখতে হবে। না হলে মেধার মূল্যায়ন হবেনা। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদেরও।’
আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য মনোযোগী করে রাখতে সরকার এ্যাসাইনমেন্ট ব্যবস্থা চালু করেছে। অ্যাসাইনম্যান্টের উত্তর শিক্ষার্থীরা নিজ থেকে লিখতে হবে। ফটোকপির দোকানে অ্যাসাইনম্যান্টের উত্তর সরবরাহের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএফও