ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবেছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সোমবার (২৭ মে) ভোর থেকে তিন ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
রোববার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও ভোর হতেই এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকার দোকান, বাসা-বাড়ি ও অলি-গলির রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, ডি সি রোড, কে বি আমান আলী রোড, বাকলিয়া, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, প্রবর্তক মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, এম এম আলী রোড পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া হালিশহর, শুলকবহর, মির্জাপুল, ওয়াসা মোড়, তিন পোলের মাথা, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ এলাকাও পানিতে তলিয়ে গেছে।
জলাবদ্ধতার কারণে অনেকে কর্মস্থলে যেতে পারেননি। অনেকে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানিও জমেছে। অনেককে আবার এই পানি মাড়িয়ে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে।
চকবাজারের কে বি আমান আলী রোডের বাসিন্দা কাউছার মোবারক বলেন, ‘আমি নিচ তলায় ভাড়া থাকি। সকাল হতেই ঘরে পানি ঢুকেছে। এজন্য আজ অফিসেও যেতে পারিনি।’
চকবাজারের ডি সি রোডের বাসিন্দা প্রশান্ত তালুকদার কাজ করেন একটি গার্মেন্টসে। তিনি বলেন, রাস্তার হাঁটুর কাছাকাছি পানি উঠে গেছে। কিন্তু এর মধ্যে অফিসে যেতে হচ্ছে, কিছু করার নেই।’
৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত প্রত্যাহার
বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দুর্বল হয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে দেওয়া ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই চার বন্দরে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখানো হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিজে