৩৫ বছরের ডাকসেবার সমাপ্তি, শেষ দিনে সহকর্মীদের ভালোবাসায় ভাসলেন সাইফুল
রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরের ডেপুটি পোস্টমাস্টার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বিদায় নিয়েছেন দীর্ঘ ৩৫ বছরের কর্মজীবন শেষে। রোববার (৪ মে) তার অবসরে যাওয়ার দিনে সহকর্মীদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তিনি। বিদায় জানাতে শুধু বর্তমান সহকর্মীরাই নয়, অতীতের অনেক সহযোদ্ধাও ছুটে আসেন। এমনকি উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগ পূর্বাঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ সালেহ আহাম্মদও।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় রাঙামাটি প্রধান ডাকঘরের বিলি শাখায়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার তাপস চাকমা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পোস্টাল ডিভিশনের ডাকঘর পরিদর্শক সুমিত শীল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি রাঙামাটি বিভাগে কর্মরত অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পোস্টমাস্টার জেনারেল সালেহ আহাম্মদ বলেন, ‘সাইফুল ভাই শুধু চাকরি করেননি, তিনি রাষ্ট্রকে সেবা দিয়েছেন। ৩৫টি বছর তিনি নিষ্ঠা, সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তার এই সেবার মূল্য টাকার নয়—ভালোবাসা দিয়েই তাকে সম্মান জানাতে আমরা ছুটে এসেছি।’
বিদায় অনুষ্ঠানে গান, কবিতা ও স্মৃতিচারণার আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুলতান মাহমুদ গজনবী, মোহাম্মদ ইউচুপ মিয়া, আবুল হায়াত, মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ, মোহাম্মদ দেলোয়ার, এম এ কাসেম, জামাল আহম্মদ, দ্বিজয় চৌধুরী, শাহজাহান আকবর, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মনছুর আলম, তৈয়ব খান চৌধুরী ও পাপড়ি চাকমা।
ডাকঘর ও বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে স্মারক ক্রেস্ট, শুভেচ্ছা পত্র ও উপহার তুলে দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
বিদায় বক্তব্যে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘চাকরিজীবনের শেষ প্রান্তে এসে সহকর্মীদের ভালোবাসা যে কী অমূল্য, তা আজ অনুভব করছি। এই ভালোবাসা নিয়েই অবসর জীবনে পা রাখছি—আশা করি সুস্থ ও সুন্দরভাবে কাটবে বাকি দিনগুলো।’
