বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আগামী বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দেয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেটি সত্য নয় উল্লেখ করে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামী বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারাবছর চালু থাকবে। প্রাক-নিবন্ধনের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে- মর্মে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বছর সৌদি আবরের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার কোটা নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত ছিল।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করােনাভাইরাসের কারণে এ বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি। সৌদি আরবে অবস্থানরত মুসল্লি ছাড়া অন্য কোনো দেশের মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। এবার খুবই সীমিত সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে হজ পালিত হয়।
এদিকে এ বছর যারা হজ পালন করতে পারেননি তাদের অনেকে টাকা ফেরত নিয়ে নিবন্ধন বাতিল করেছেন। বাকিরা আগামী বছর হজে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। বর্তমানে মােট ৬২ হাজার ৩১০ জনের চূড়ান্ত নিবন্ধন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ১০৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৯ হাজার ২১০ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যেসব হজযাত্রী টাকা উত্তোলন করেননি তারা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে হজ পালনে অগ্রাধিকার পাবেন। আর যারা টাকা উত্তোলন করে ফেলেছেন তাদের আগামী বছর হজে যেতে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ জন্য করােনা পরিস্থিতি উন্নতি সাপেক্ষে আগামী বছর হজ সম্পন্নের আশায় আবারও হজের প্রাক-নিবন্ধন চলছে।
এমএহক