চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত ২৬০ বস্তা চালের একটি চালান যাওয়ার কথা নোয়াখালীর চরভাটা এলএসডি গোডাউনে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে চাল নিয়ে ট্রাকটি চলে যায় চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী চাল বাজারের আড়ৎদার আব্দুল বাহার মিয়ার মালিকানাধীন মাহী ট্রেডার্সের গুদামে। বন্দর জোনের গোয়েন্দা পুলিশ সেই খবর পেয়ে ২৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করতে গিয়ে পেয়ে যায় আরও ১১৪০ বস্তা চাল। এ যেন কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসার মতো ঘটনা।
পাহাড়তলীর সেই চাল ব্যবসায়ীর গুদামে রাতেই (২০ এপ্রিল) অভিযান চালিয়ে জব্দ করে ২৬০ বস্তা চাল। এসময় তল্লাশী চালিয়ে আরও ১১৪০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। আটক করা হয়েছে গুদামের মালিক আব্দুল বাহার মিয়াকেও।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর) পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বন্দর বিভাগের উপ কমিশনার ফারুল উল হক। তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারিতে খাদ্য সংকট যাতে না হয় সে লক্ষ্যে সরকার দেশের বাইর থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৬০ বস্তা চালের একটি চালান নিয়ে জব্দকৃত ট্রাকটি যাওয়ার কথা ছিল নোয়াখালীর চরভাটা এলএসডি গোডাউনে। কিন্তু সেটি পাহাড়তলী চাল বাজারের আড়ৎদার আব্দুল বাহার মিয়ার মালিকানাধীন মাহী ট্রেডার্সের গুদামে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাত থেকে আজ (বুধবার) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মোট ১৪শ বস্তা চাল আমরা উদ্ধার করেছি। এখানে প্রায় ৭০ হাজার কেজি চাল রয়েছে।’
ডিবি বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার এএএম হুমায়ন কবির জানান, ‘চালের বস্তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিল রয়েছে। বস্তা পরিবর্তন করে তারা এই চাল খোলা বাজারে বিক্রি করেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল বাহার মিয়া স্বীকার করেছেন।’
জানা গেছে, এই চালের বাহক সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্স। চাল প্রেরণের সাক্ষর রয়েছে চট্টগ্রাম জেটি খাদ্য অফিসের সহকারী নিয়ন্ত্রক এসএম নূরউদ্দিনের। আব্দুল বাহার মিয়া বাহক সবুজ এণ্ড ব্রাদার্সের কাছ থেকে ২৬০ বস্তার চাল প্রতিকেজি ৪০ টাকা করে কিনেছেন। বাকি চাল বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। খোকন নামে এক ব্যক্তি বন্দর থেকে ২৬০ বস্তার চালের চালান বের করে দেন বলে আব্দুল বাহার মিয়া জানান।
এমএহক