২৫ মাস ধরে জলঘোলা করে সেই দুই ছাত্রীকে ভর্তি নিচ্ছে চবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে না পারা দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির অনুমোদন দেয়।

গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এই দুই শিক্ষার্থী হচ্ছেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ১০৯১ তম স্থান অধিকার করা জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন ও বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে ৪৩৪ তম হওয়া ফাহিমা আক্তার।

জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন বেশকিছু শিক্ষার্থী। তবে মানোন্নয়ন দিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় তাদের ভর্তি নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এ ছাড়া ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।

এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়াও ডি-ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হইনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।

এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। একই বছর ২২ সেপ্টেম্বর শুনানিতে ৮২ শিক্ষার্থী নয়, কেবল যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে দুই শিক্ষার্থী জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন ও ফাহিমা আক্তারকে ভর্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

ভর্তির অনুমোদন পাওয়া জিনাতুল ফেরদৌস নাহিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ মাস পর আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমোদন পেয়েছি। আমরা খুবই আনন্দিত।

তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি অপর শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার।

বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ওই দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে হবে। তারা ভর্তি হতে আবেদন করেছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!