২৫০ শিল্প প্লট বাড়ছে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে, ব্যয় বেড়ে ১৩০৩ কোটি টাকা

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইকোনমিক জোন) শিল্প প্লটের সংখ্যা ২৫০টি বাড়িয়ে ৫৩৯টি করতে যাচ্ছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন করে ফায়ার স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, দুটি কারখানা ভবন, ফুটপাত, গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তিনটি আবাসিক ভবন, একটি মসজিদ ও একটি মেডিকেল সেন্টার নির্মাণসহ কয়েকটি নতুন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সংযোজন করা হবে।

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পটি সরকার প্রথমবারের মতো সংশোধন করতে যাচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

মূল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৭৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এখন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে এক হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। মূল অনুমোদিত প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর হতে ২০২১ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ছিল। এখন প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে ২০২৩ সালের জুন নাগাদ করা হচ্ছে।

প্রকল্পের আওতায় ১ দশমিক ১৫৬ কোটি ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন, ৩ দশমিক ৬৪ লাখ বর্গমিটার রাস্তা ও ৩৮ হাজার ৭৮৫ বর্গমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হবে। ৬১ হাজার ২৮৩ মিটার ড্রেন, ৯ হাজার ৩৬৮ মিটার বারবেড ওয়ার ফেন্সিং ও ৪ হাজার ৪৬৫ মিটার সীমানা দেয়াল নির্মাণ হবে। ৩ হাজার ৫১৬ বর্গমিটার অফিসার্স ডরমিটরি ও ২ হাজার ১১৬ বর্গমিটার স্টাফ ডরমিটরি ভবন থাকবে প্রকল্প এলাকায়।

এছাড়াও ৩ হাজার ১৭৩ বর্গমিটার বি টাইপ, ২ হাজার ৬৬১ বর্গমিটার সি টাইপ ও ২ হাজার ১৫৪ বর্গমিটার ডি টাইপের একটি করে আবাসিক ভবন নির্মাণ হবে। ৬ হাজার ১৫০ বর্গমিটার ইনভেস্টরস আবাসিক ভবন, ৫ হাজার ৫২ বর্গমিটার ইনভেস্টরস ক্লাব ও ৫ হাজার ৬২১ বর্গমিটার জোন সার্ভিসেস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। একইসঙ্গে ২ হাজার ৬০৩ বর্গমিটার সিকিউরিটি ও কাস্টমস ভবন, ১ হাজার ৬ বর্গমিটার সিকিউরিটি ব্যারাক, ১ হাজার ৬ বর্গমিটার আনসার ব্যারাক, ৩৭ হাজার ৫৮২ বর্গমিটার কারখানা ভবন, ১ হাজার ৫৯ বর্গমিটার মসজিদ, ২ হাজার ৪১২ বর্গমিটার মেডিকেল সেন্টার ও আনুষঙ্গিক স্থাপনাসহ ৯৩৬ বর্গমিটার ফায়ার স্টেশন ভবন নির্মাণ হবে।

একইসঙ্গে এ প্রকল্পে ১৫৩ মিটার মেইন গেট ও সিকিউরিটি গেট, ২০২ মিটার কাস্টমস গেইট, ৩০টি সিকিউরিটি ওয়াচ টাওয়ার, একটি হেলিপ্যাড, দুটি কালভার্ট, ৩৯ হাজার ৩১০ মিটার ১১ কেভি এইচটি লাইন ও ৪৯টি সাব-স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি এক হাজার ৪৪৪টি সোলার স্ট্রিট লাইট ও ৩৭০টি সোলার সিকিউরিটি লাইট স্থাপন করা হবে। স্থাপন করা হবে ৫৮ হাজার ৩২৫ মিটার ট্রিটেড ওয়াটার ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, ১৩ হাজার ৩৪৬ মিটার র-ওয়াটার কালেকশন নেটওয়ার্ক ও ১৩টি গভীর নলকূপ। ১৫ হাজার ৪৯৩ মিটার টেলিফোন নেটওয়ার্ক, ৪৮ হাজার ৯৩৭ মিটার গ্যাস সাপ্লাই নেটওয়ার্ক ও এক হাজার ৪৮ কিলোমিটার ইফ্লুয়েন্ট নেটওয়ার্ক স্থাপন হবে এক প্রকল্পে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করবে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগ। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!