২১ থেকে ৪০— চট্টগ্রামে তরুণরাই করোনার সহজ শিকার

নারীদের তুলনায় ৫ গুণ বেশি পুরুষ আক্রান্ত

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা চট্টগ্রামেও যেন পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিন ছাড়িয়ে যাচ্ছে দিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। একদিকে নমুনা পরীক্ষা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। যদিও করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার শুরুর দিকে ধারণা করা হতো, বয়স্ক ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত বেশি হবেন। কিন্তু বাস্তবতায় সেই হার অনেক কম। একইভাবে চট্টগ্রামেও বয়স্কদের তুলনায় করোনা শনাক্ত হওয়া বেশিরভাগ রোগীই তুলনামূলক কম বয়সী নারী-পুরুষ।

করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ২১ থেকে ৪০ বছরের মানুষ। যা মোট আক্রান্তের ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী করোনা রোগী ২৫ শতাংশ এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৫ শতাংশ। যেখানে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর হার ২০ শতাংশ। সেখানে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী মানুষের করোনায় আক্রান্তের হার ১২ শতাংশ এবং ষাটোর্ধ রোগীর হার ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই পুরুষ রোগী, যা আক্রান্ত নারী রোগীদের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় ৩৯৯ জন পুরুষ রোগী এবং তার বিপরীতে নারী রোগী ১১৩ জন। আবার বয়সভেদে করোনায় আক্রান্তের হার নারীদের তুলনায় পুরুষের বেশি। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় করোনা শনাক্ত হয় ৬৯ শতাংশ যা মোট আক্রান্তের ৩৫৩ জন এবং উপজেলায় শনাক্ত হয় ৩১ শতাংশ যা আক্রান্তের ১৫৯ জন। আক্রান্তের বেশিরভাগ নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৯ জন। যা মোট আক্রান্তের ১৭ শতাংশ। অপরদিকে করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ জন— যা মোট আক্রান্তের ৫ শতাংশ। জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৬০ জন করোনা রোগী। এর বাইরে বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৪৭ জন এবং আইসোলেশনে আছেন ৯৪ জন করোনা পজিটিভ রোগী।

চট্টগ্রামের কমবেশি সব এলাকায় এক-দুইজন করে করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে মহানগরীর বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে সাতকানিয়া উপজেলায়। এর পরের অবস্থানে আছে লোহাগাড়া উপজেলা। এ পর্যন্ত সাতকানিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জন এবং লোহাগাড়ায় ২৬ জন। এছাড়াও সীতাকুণ্ড উপজেলায় শনাক্ত হয় ২১ জন, পটিয়ায় ২০ জন। এর মধ্যে মাত্র একদিনেই বাঁশখালীতে ১২ জন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগে ছিল তিনজন রোগী। বাঁশখালীতে এখন মোট শনাক্ত রোগী ১৫ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৪ জন, সন্দ্বীপে ৯ জন, হাটহাজারীতে আট জন, মিরসরাইয়ে চারজন। তবে আনোয়ারা, ফটিকছড়ি এলাকায় একজন করে করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোর মধ্যে রাউজানে দুইজন, বোয়ালখালীতে দুইজন, চন্দনাইশ চারজন করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ মে পর্যন্ত।

এসআর/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!