ব্যাংক ঋণের ২১ কোটি টাকা পরিশোধ করেই জামিন পেয়েছেন চন্দনাইশ উপজেলার চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা।
সোমবার (২৯ জুলাই) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের ২১ কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়ে সস্ত্রীক জামিন প্রার্থনা করেন জসিম।
চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান জামিন মঞ্জুর করে ওয়ারেন্ট রি-কলের আদেশ দেন।
বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।
পদ্মা ব্যাংকের মামলার চলমান কার্যক্রমের বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘জেসিকা গ্রুপের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী তানজিনার ওয়ারেন্ট রি-কল করা হলেও আদালতে পদ্মা ব্যাংকের দায়ের করা মামলাটি নিষ্পত্তি হয়নি। মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
২০২০ সালে পদ্মা ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার সহকারী কর্মকর্তা, মো. রাসেল পাটোয়ারি, ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী, জসিম উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী, তানজিনা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা হয় অর্থঋণ আদালতে।
২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এক আদেশে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ দেন। জামানতে দেওয়া লাভজনক প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষ রিসিভার নিয়োগের পর বিবাদীরা ব্যাংকের সঙ্গে আপস-মীমাংসায় যান। সে সময় জসিম উদ্দিন ২৫ কোটি টাকা পরিশোধও করেন। এসময় ব্যাংকের পাওনা ছিল ১১৬ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ২১০ টাকা।
এ ঋণের সুদ মওকুফ করে ৬০ কোটি টাকা পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয় জসিমকে। অবশিষ্ট ৩৫ কোটি টাকা নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশও দেন আদালত। প্রতিমাসে এক কোটি টাকা করে পরিশোধের অঙ্গীকার করেন জসিম। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি রাখেননি।
এদিকে ঋণ পরিশোধ না করায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ জসিমের বন্ধকি সম্পত্তি নিলামের দিন ধার্য করেন আদালত। সেদিন জসিম আদালতে উপস্থিত হয়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকারে নিলাম স্থগিতের আবেদন করলেও টাকা পরিশোধ করেননি। ওইদিন বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির দরপত্র না পেয়ে নিলাম স্থগিত হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জসিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আবেদন করে আদালতে। এরপরই একদিনের মধ্যে ৬ কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন জসিম। তবে ২৮ মার্চ তিনি এক কোটি টাকা পরিশোধ করেন।