২০২৩ সালের এসএসসি এপ্রিলে, এইচএসসি জুনে—এ বছরও ‘হচ্ছে না’ জেএসসি পরীক্ষা

২০২৩ সালের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও এ বছরের মতো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই নেওয়া হবে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, চলতি বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ইঙ্গিত দেন। তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) সিলেবাসে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে।

দীপু মনি বলেন, এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে আলাদা করে বোধ হয় জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। মনে হয় না, এ পরীক্ষা নিতে শিক্ষা বোর্ড প্রস্তুতির জন্য সময় পাবে। তবে অন্য শ্রেণির মতো অষ্টম শ্রেণিতেও শ্রেণির মূল্যায়ন হিসেবে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। যেহেতু চলতি বছরের এসএসসি-সমমান পরীক্ষা জুনে ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আগস্টে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য নভেম্বরে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

দীপু মনি বলেন, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা হবে কি না সেটি আগামী এক-দুই মাস ঘোষণা দেওয়া হবে। আগে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে অমনোযোগী হয়ে উঠবে। সে কারণে আরেকটু সময় নিয়ে এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা আমাদের থাকবে। যদি সেটা সম্ভব না হয় তবে তা বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে আগামী বছর থেকে এমনিতেই জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থাকছে না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমস্ত দিক বিবেচনায় ২০২৩ সালের এসএসসি/দাখিল ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। এসএসসি-সমমান পরীক্ষা এপ্রিলে এবং এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা জুন মাসে আয়োজন করা হবে।

তবে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে। এ বছরের উভয় পরীক্ষায় সব বিষয়ের পূর্ণ নম্বরে এবং পূর্ণ সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ছিদ্দীকুর রহমান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান (রুটিন) অধ্যাপক মশিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!