কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মিঠাপানিরছড়া এলাকার শামসুল আলম। প্রায় ১৫ বছর ধরে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এসব ইয়াবা আনতেন মিয়ারমার থেকে। এনে বিক্রি করতেন কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ইয়াবা কারবারিদের কাছে। তার একমাত্র আয়ের উৎস হল এই মাদকব্যবসা।
টেকনাফের বেশ কিছু স্থানে জায়গাসহ বিভিন্ন তফশিলভুক্ত ব্যাংকে রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ। অভিযোগের প্রক্ষিতে তার বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পাওয়ায় মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক তুষার আহমেদ বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
তার বিরুদ্ধে ৭৪ লাখ ৯২ হাজার ৮১৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজার এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শামসুল আলম (৪১)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার মিঠাপানিরছড়া (লেঙ্গুরবিল) হাজী গোলাম হোসাইনের ছেলে।
২০১৭ সালের ১৩ জুন ইয়াবা ব্যবসায়ি শামসুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রক্ষিতে অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সম্পদ জারির আদেশ দাখিল করা হয়।
২০১৯ সালের ৫ মে দুদক থেধকে প্রেরণকৃত দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীর ফরম গ্রহণ করেন তার স্ত্রী হাসিনা বেগম। এরপর ২০১৯ সালের ২৩ মে দুদকের নিকটে তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে ৫১ লাখ ৬ হাজার ৩৫৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।
এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এমএ/এমএফও