১৫ ডিসেম্বর উন্মুক্ত হবে উড়াল সেতুর র‌্যাম

১৫ ডিসেম্বর উন্মুক্ত হবে উড়াল সেতুর র‌্যাম 1বিশেষ প্রতিবেদক : ১৫ ডিসেম্বর উন্মুক্ত হবে বহদ্দারহাট উড়াল সেতুর কালুরঘাটমুখী র‌্যাম। বর্তমানে নগরীর বহদ্দারহাট উড়াল সেতুর কালুরঘাটমুখী অংশের নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে।

২০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বহদ্দারহাট উড়াল সেতুর র‌্যাম নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের অক্টোবরে। এ সময়ে বহদ্দারহাট মোড় থেকে আরাকান সড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সড়কের অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকতো সড়কে। কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে বহদ্দারহাট মোড়ের দিকে আসা যাত্রীদের বাস টার্মিনাল হয়ে নতুন চান্দগাঁও থানার সামনে দিয়ে আসতে হয়। এমনকি নগরীর বৃহত্তম আবাসিক চান্দগাঁও এ এবং বি ব্লকের বাসিন্দা, চান্দগাঁও, মোহরা এলাকার বাসিন্দারা বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালের ভিতর দিয়ে দুরত্ব ভেঙ্গে আসতে হচ্ছে। র‌্যাম নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ধীরগতির কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে আরাকান সড়কের যাত্রীদের এই দুর্ভোগ চলে আসছে।

নগরবাসী এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষকে বহদ্দারহাটের যানজট থেকে মুক্ত রাখতে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ফ্লাইওভারটির মূল ডিজাইন ছিল ওয়াই আকৃতির। এতে বহদ্দারহাট থেকে ফ্লাইওভারের দুটি শাখার একটি কালুরঘাটমুখী এবং অপরটি শাহ আমানত সেতুমুখী রাখা হয়েছিল। দুদিক থেকে ওঠানামার সুযোগ ছিল। কিন্তু নির্মাণকালে ফ্লাইওভারটির কালুরঘাট অংশ স্থগিত রেখে শাহ আমানত সেতুমুখী অংশ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল, শাহ আমানত সেতুমুখী যানবাহন উপরে উঠলে নিচে যানজট থাকবে না। এতে কালুরঘাটমুখী গাড়ি উপরে না উঠেও স্বচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবে। ফ্লাইওভার চালু করার পর যানজট কমে যায়। তবে ফ্লাইওভারটি পুরোপুরি ব্যবহৃত হচ্ছিল না। কক্সবাজার এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী প্রাইভেট গাড়িগুলো ফ্লাইওভার ব্যবহার করলেও অধিকাংশ গাড়ি নিচ দিয়ে চলাচল করত। অপরদিকে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, কুয়াইশ এবং কালুরঘাটমুখী গাড়িও নিচে জটলায় আটকা পড়ত।

এ অবস্থায় সিডিএ এক বছর আগে মূল ডিজাইন অনুযায়ী কালুরঘাটমুখী অংশের নির্মাণকাজ শুরু করে। কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। বর্ধিত এই অংশের দৈর্ঘ্য এক হাজার ফুট। ১৫ ডিসেম্বর ফ্লাইওভারের বর্ধিত অংশ চালু করা হবে জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, এতে করে ফ্লাইওভারটির ব্যবহার বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে সিডিএ সূত্রে জানা গেছে।

বহদ্দারহাট উড়াল সেতুর র‌্যাম প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগামী কদিনের মধ্যে র‌্যাম নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। এরপর এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’

ভুক্তভোগীরা জানায়, সড়কের অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল চালু থাকার কারণে সংকুচিত সড়কের যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামার কারণে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে। তাছাড়া ব্যস্ততম বহদ্দারহাট মোড়ে রয়েছে ভাসমান হকারের দোকান ও গাড়ির অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে বহদ্দারহাট মোড় পার হতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!