১৩ টন সুইট কর্নের চালানে মাত্র ৫ কেজি, রাজস্ব ফাঁকি ৮০ লাখ টাকা!

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য খালাসের চেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা ১৩ হাজার ২০ কেজি সুইট কর্নের একটি চালানে পাওয়া গেছে মাত্র ৫ কেজি। ৩ হাজার ২৩৫ কেজি কিডনি বিনসের ঘোষণা থাকলেও ছিল না কনটেইনারে। ঘোষিত পণ্যের মূল্য মাত্র ৭ লাখ টাকা। কিন্তু আনা হয়েছে এক কোটি টাকার পণ্য। ফলে ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে ঢাকা বাড্ডার স্টার অ্যালায়েন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

চালানে ঘোষণা ছাড়াই আনা হয় ১২ পদের চকলেট, ওয়েফার, বিস্কুট, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি। এরমধ্যে ২ পদ ছাড়া বাকিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কনটেইনারেই।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট রিসার্চ অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন (এআইআর) শাখার শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় ঢাকার গুলশানের উত্তর বাড্ডা এলাকার স্টার অ্যালায়েন্স এর মিথ্যা ঘোষণায় আনা চালানটির এ চিত্র ধরা পড়ে।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে ‘ওশান নব সেবা’ নামের জাহাজে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর চালানটির কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চীনের আনাস পি ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানিকারকের পক্ষে চালানটি খালাস করতে কাস্টম হাউসে গত ১৭ জানুয়ারি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের শেখ মুজিব রোডের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এলিট এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু গোপন সংবাদ থাকায় কনটেইনারটি গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় সিঅ্যান্ডএফ পণ্য খালাসে দেরি করে। দীর্ঘদিন পর এআইআর শাখা নিজস্ব ব্যবস্থায় কনটেইনারটির কায়িক পরীক্ষা করে।

নুর উদ্দিন মিলন জানান, কনটেইনারের ঘোষিত ওজন ছিল প্রায় ১৬ টন। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় ২২ টন পণ্য পাওয়া গেছে । শুধু সফট ড্রিংকস এবং এনার্জি ড্রিংকস আছে প্রায় ১৬ টন । ঘোষিত পণ্যের মূল্য মাত্র ৭ লাখ টাকা। কিন্তু আনা হয়েছে এক কোটি টাকার পণ্য। এখানে মোট ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে কাস্টমস আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপ-কমিশনার।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!