চট্টগ্রামে দৈনিক শনাক্তের নামতায় শনাক্ত কিছুটা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। আগেরদিন ১০ মৃত্যুর সাথে শনাক্ত ছিল ৮৭৯ জন। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শনাক্ত কমে দাঁড়িয়েছে ৭৭২ জনে। যাদের মধ্যে ৪৪৪ জন নগরের এবং ৩২৮ জন বিভিন্ন উপজেলার। তবে এদিন মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১২ জন। যাদের ৮ জনই নগরের, বাকি ৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৯২ হাজার ৬৭৯ জনে। এর মধ্যে নগরের ৬৮ হাজার ৩৩৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৪ হাজার ৩৪১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে করোনা কেড়ে নিয়েছে ১ হাজার ৯৪ জনের প্রাণ। যাদের ৬৩৯ জন নগরের এবং ৪৫৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।
বুধবার (১১ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৮টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে এবং নগরের বিভিন্ন ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টসহ ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৭২ জন।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে করোনার বিষ পাওয়া যায় ১৩৮ জনের দেহে। যাদের ৫৭ জন নগরের এবং ৮১ জন বিভিন্ন উপজেলার। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯২ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১৩১ জন নগরের এবং ৬১ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৮০ জন এবং উপজেলার ৬৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৮৫ জনকে করোনা পজিটিভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের মধ্যে ১৭ জন নগরের ও ৬৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ৫০৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে ৮০ জনকে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে জানানো হয়। যাদের মধ্যে ৪৮ জন মহানগরের এবং ৩২ জন বিভিন্ন উপজেলার।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩ জন ও উপজেলার ১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ৩৮ জন নগরের এবং ১ জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনকে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। যাদের মধ্যে ৩৬ জন নগরের, ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ৩৪ জনই নগরের, বাকি ১১ জন উপজেলার।
সিভিল সার্জন আরও জানান উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে হাটহাজারীতে। সেখানে করোনা শনাক্ত হয় ৭৫ জন। এছাড়া, রাউজান উপজেলায় ৬২ জন, বোয়ালখালীতে ৫৩ জন, আনোয়ারায় ৩৫ জন, ফটিকছড়িতে ২৬ জন, সাতকানিয়ায় ২৪ জন, সীতাকুণ্ডে ১৭ জন, বাঁশখালী, চন্দনাই ও পটিয়ায় ৮ জন করে, মিরসরাইয়ে ৭ জন, লোহাগাড়ায় ৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এদিন সন্দ্বীপে কোন করোনারোগী পাওয়া যায়নি।
এমএহক