১২ পোশাক কারখানার ১৩ হাজার শ্রমিক পেল করোনার টিকা, সপ্তাহে দেওয়া হবে ৬০ হাজার

গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের গণটিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ৬০ হাজার শ্রমিককে এ টিকা দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে বাকিদের দেওয়া হবে টিকা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক শুরু হয়। এতে নাসিরাবাদ এলাকায় ১২টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার শ্রমিককে টিকা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত ৩৫০টি পোশাক কারখানার ৫ লক্ষাধিক শ্রমিক রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল পোশাক কারখানায় করোনার টিকা দেওয়া হবে।

বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পোশাক কারখানাগুলোকে জোন আকারে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে এ টিকা। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের সমন্বয়ে চলছে এ কার্যক্রম।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা চলমান রাখার জন্য শ্রমিকদের গণটিকা দেওয়া জরুরি। কারণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ ছাড়া কারখানা খোলা রাখা মুশকিল। টিকাদান সম্পন্ন হলে দেশে রপ্তানি আদেশ আরও বৃদ্ধি পাবে। ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি।

১২ পোশাক কারখানার ১৩ হাজার শ্রমিক পেল করোনার টিকা, সপ্তাহে দেওয়া হবে ৬০ হাজার 1

বিজিএমইএ সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের টিকার আওতায় আনা খুব জরুরি ছিল। অনেক সময় শ্রমিকদের পক্ষে সরকারি অ্যাপসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। গণটিকা দেওয়ায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, শ্রমিকরা সুস্থ থাকলে দেশের অর্থনীতিও সুস্থ থাকবে। তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শ্রমিকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।

কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের ডিআইজি আবদুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামের প্রত্যেক কারখানার শ্রমিকদের টিকা দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। শ্রমিকদের টিকা নিশ্চিত করার জন্য কারখানায় গিয়ে টিকা দেওয়ার কোন বিকল্প নেই। শুরুতে পোশাক কারখানায় ঠিকা দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত টিকা এলেই সব কারখানা টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হবে।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!