১১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করলো কক্সবাজার আওয়ামী লীগ

১১ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কক্সবাজার জেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তাদের বহিস্কার করা হয়।

একইসাথে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

১১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ মঞ্জুর বলেন, কক্সবাজারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী না হওয়ার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর নোটিশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল।

তিনি বলেন, অনেকেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আবার অনেকেই নেননি। যারা নিয়েছেন তাদেরকে দলীয়ভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। কিন্তু ১১ বিদ্রোহী প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক তাদের সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নুর হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন আহমদ, পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিএ, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন খোকন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের এনামুল হক রুহুল, মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ, মাষ্টার রুহুল আমিন, আবদুস সাত্তার, হোয়ানক ইউনিয়নের মীর কাসেম চৌধুরী ও ওয়াজেদ আলী মুরাদ, কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সিরাজদৌল্লাহ।

এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম জহুরকেও সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

তাদেরকে চূড়ান্তভাবে কেন বহিস্কার করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ মঞ্জুর। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শাতে না পারলে তাদেরকে চূড়ান্তভাবে বহিস্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবরে জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ পাঠানো হবে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!